ভুলো দাদুর কথা
– বোরহানুল ইসলাম লিটন
শোন শোন দাদু ভাই
পালাস্ নে ছি!
জানি জানি বলবে যে
ঘটনা তা কি –
’গেছি সবে বট তলে
ছেড়ে ছাগ চরে,
ঝাঁপ দিয়ে লাল পাখি
মাছ খেলো ধরে।’
বলিস্ কি একদম!
জানালো কে ভোলা?
ধেত্তেরী! এই নিয়ে
তেরো হলো বলা।
বলতো সখা!
– বোরহানুল ইসলাম লিটন
বলতো সখা ভেবে শেষ –
আর কি আছে এমন দেশ?
আমার দেশে মায়া আছে
শ্যামল বরণ ছায়া আছে
পাখির গলে ছন্দ আছে
মেঘের বুকে প্রেম –
সুতল মাঠে ফসল আছে
প্লাবন খরার ধকল আছে
নিশির সাথে চন্দ আছে
মাটির বুকে হেম।
আমার দেশে নদী আছে
ঘাসের সবুজ গদি আছে
ফুল ও ফলের গন্ধ আছে
মাচায় সতেজ সিম –
ঋতুর বিরল বাঁধন আছে
কৃষক শ্রমীর সাধন আছে
সকল বাবার স্কন্ধ আছে
সখ্যতাতে হিম।
মা ও নাড়ির তবু এ’ টান ছাড়ি –
চিরতরেই বিদেশ দিলি পাড়ি!
অনিন্দ্য কুসুম
– বোরহানুল ইসলাম লিটন
’দুঃখগুলো বক্ষে দিয়ে হানা,
যখন-তখন গর্বে সাজে
ছারপোকাদের ছানা।
কোথায় গেলো নিদ?
কুরে কুরেই করলো যে খাক
মন মননের ভিত!’
একলা এহেন নিজের সাথে যুঝি,
আফসোসই ক্যান হবেই ভাবো
বিদায় বেলার পুঁজি!
নাইবা পেলে চুম –
লহুর কণা হয় যদি শেষ
অনিন্দ্য কুসুম?
মান বদলের গান
– বোরহানুল ইসলাম লিটন
প্রবাহ প্রাণের জ্ঞাতি আজ র’লে দুখ,
ফিরবেই কাল প্রাতে ঝলমলে সুখ।
মেঘ আর রোদ্দুরই বয়ে চলে বেলা,
এ’কথা আমার নয় নিয়তির খেলা।
শুধু কি খরার ঘাত গুণে কোন জোত!
ময়লা যা টেনে পূত তটিনীর স্রোত।
তবু সদা কানে এলে অম্লের গান,
মেনো সেথা কেঁদে ফিরে কৃষকের মান।
কবি পরিচিতি

বোরহানুল ইসলাম লিটন। শিক্ষাগত যোগ্যতা এম, এ (প্রথম পর্ব)।
কবির জন্ম ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বাংলাদেশ, নওগাঁ জেলার অন্তর্গত আত্রাই থানার ’কয়েড়া’ গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে। পিতা মরহুম বয়েন উদ্দিন প্রাং ছিলেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাতা মরহুমা লুৎফুন নেছা গৃহিণী। বর্তমানে তিনি একই থানাধীন ’পাঁচুপুর’ গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
স্কুল জীবন থেকেই কবি সাহিত্যানুরাগী মানুষ। প্রকৃতির হাসি অন্তরে পুষে বড় হয়েছেন গ্রামীণ পরিবেশের শীতল ছায়ায়। প্রিয় সখ বই পড়া ও লেখালেখি। ছড়া, কবিতা, গীতিকাব্য ও অনুগল্প মিলে তার লেখার সংখ্যা প্রায় দুই হাজার এর মতো। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন ওয়েব সাইটে নিয়মিত লিখে চলেছেন।