না ফিরার দেশের যাত্রী
– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ
না ফিরার দেশের যাত্রী সবাই
এ কথা যদি মানি
জাত-জাতিরে কিসের তফাৎ
কওতো একটু শুনি।
জাত জাতি যতই দেখাই
ওরা কিন্তু মানুষ সবাই।
এই সত্য ভুলে গেলে
তুমি কিসের জ্ঞানী।
আসা-যাওয়ার একই পথ
বিকল্প যার নাই
মাঝখানে কীসের তথাৎ
ভেবে নাই পাই।
যারাই করে এই তফাৎ
করছে তারা পক্ষপাত।
এখন থেকে আর ঠেলোনা
পক্ষপাতের ঘানি।
মানুষে মানুষে নেই ভেদাভেদ
সকল মানুষ ভাই
ভাইকে ছোট করার মতো
বোকামি আর নাই।
এই বোকামি ছেড়ে দেও
ভাইকে টেনে বুকে নেও।
মাটির ভুবনে করতে হলে
সুখের স্বর্গখানি।
যদি শেষ দেখা হয়
– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ
তোমার আমার এই দেখা
যদি শেষ দেখা হয়
অবুজ মনকে বুঝিয়ে বোলো
চিরদিন কেহ নাহি রয়।
যখন যাহার সময় হবে
তখন তাহার যেতেই হবে।
এই দুনিয়ার এটাই রীতি
তাইতো মেনে নিতে হয়।
তোমার আমার এই দেখা
যদি শেষ দেখা হয়।
অবুঝ মনে বুঝ মানে না
রাহাজানি মিছে তাই
বিধির বিধান খন্ডন করার
সাধ্য কারুর নাই।
বেঁধে জেও এলো চুল
ক্ষমা করো সব ভুল।
মনে রেখো ভালো বাসার
মরণ নাহি হয়।
তোমার আমার এই দেখা
যদি শেষ দেখা হয়।
মালা গাঁথি
– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ
তুমি কি জানো? তোমার তরে
নিতুই মালা গাঁথি
মালা হাতে নিদ্রা বিহীন
কাটাই সারা রাতি।
মনে আশা আসবে তুমি
বলবে হেসে আসছি আমি।
এবার আমায় পারাও মালা
করছি মিনতি।
জানো কি তুমি তোমার তরে
নিতুই মালা গাঁথি।
তোমার গাঁথা মালা পরে
মরণ যদি হয়
তবু মনকে প্রবোধ দেবো
হইছে আমার জয়।
ভালোবেসে মরণ হলে
মরণ হেসে নেবো কোলে।
তাহার জন্য নেই প্রয়োজন
কোনো লগ্ন তিথি।
জানো কি তুমি তোমার তরে
নিতুই মালা গাঁথি।
কবি পরিচিতি
শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ। জন্ম অক্টোবর ২৭, ১৯৫৩ সালে বাগেরহাট জেলার মিঠাখালী গ্রামে। পিতা খাদেম আলী শেখ ও মাতা জয়নাব বেগম। মোংলা উপজেলার টাটিবুনিয়া স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৭০ সালে বাগেরহাট সরকারি পি সি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ।
সহজ ও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক বাউল কবি তিনি – কবির চিত্ত কাব্য সাধনার অনন্য এক ভূমি। তাই কিশোর বয়স থেকে যে লেখালেখির শুরু, জীবনের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে এখনো তাঁর কাব্য সাধনা চলেছে অক্লান্তভাবে। তাঁর লেখার মধ্যে প্রেম ও প্রকৃতিই প্রধান্য পেয়েছে সব সময়। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি কবিতার বই এবং দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে স্থান পেয়েছে তাঁর অনেক কবিতা। (মোবাইল – ০১৩২ ৯৭৩ ০০৯)