দোষ দেবো না
– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ
তোমায় কেনো দোষ দেবো না
নাইবা মনে রাখলে
শুনে আমি সুখী হবো
তুমি সুখে থাকলে।।
আমার বুকের সিংহাসনে
বসবে না কেউ আর
তোমার লাগি শূন্য রবে
সারা জনম ভর।
দেখবো না আর তারার রূপ
আমায় শত সাধলে।
তোমায় কেনো দোষ দেবো না
নাইবা মনে রাখলে
তোমার দেওয়া আঘাত সয়ে
হয়তো বাউল হবো
ভালো আছো সুখে আছো
মনকে প্রবোধ দেবো।
যেথায় থাকি যতই দূরে
গাইবো গান তোমায় স্মরে।
সাঁঝের বেলায় বাউল বলে
নাইবা আমায় ডাকলে।
তোমায় কেনো দোষ দেবো না
নাইবা মনে রাখলে।
মন মন্দিরের দেবতা
– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ
মম মন্দিরের দেবতা তুমি
প্রণাম তোমায় করি
তোমার তরে পূজার ফুল
রেখেছি আঁচল ভরি।
হলো না দেওয়া তোমার পায়
আঁচলের ফুল আঁচলে শুকায়।
কপালে তোমার এই কি ছিল
চিন্তায় যাই মরি।
মম মন্দিরের দেবতা তুমি
প্রণাম তোমায় করি।
তোমার পায়ে আমার পূজা
আমার অর্ঘ্য দান
আমার বুকের রক্ত বিন্দু
আছে তার প্রমান।
ডুবলে পরে সপ্তমীর চাঁদ
ভাঙ্গে আমার ধৈর্য্যের বাঁধ
এ মন চায় লুটিয়ে পায়ে
আঁচল শূন্য করি।
মম মন্দিরের দেবতা তুমি
প্রণাম তোমায় করি।
ভালো নেই
– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ
আজ আমি ভালো নেই
পুড়ে গেছে মন
দু-চৌখে আছে শুধু
ব্যথার শ্রাবণ।
কোন মনে কত দূরে
থেকে থেকে বারে বারে
ঐ শোনো কাঁদের যেন
বিরহী পবন।
আজ আমি ভালো নেই
পুড়ে গেছে মন।
মরা বনে কোনো দিন
ফুল ফোটে না
ঝরা ফুলে কোনো দিন
আলি আসে না।
মন যদি পুড়ে যায়
সে মনে ক্ষত হয়।
ধুঁকে ধুঁকে কাটে তার
বাকিটা জীবন।
আজ আমি ভালো নেই
পুড়ে গেছে মন।
কবি পরিচিতি

শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ। জন্ম অক্টোবর ২৭, ১৯৫৩ সালে বাগেরহাট জেলার মিঠাখালী গ্রামে। পিতা খাদেম আলী শেখ ও মাতা জয়নাব বেগম। মোংলা উপজেলার টাটিবুনিয়া স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৭০ সালে বাগেরহাট সরকারি পি সি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ।
সহজ ও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক বাউল কবি তিনি – কবির চিত্ত কাব্য সাধনার অনন্য এক ভূমি। তাই কিশোর বয়স থেকে যে লেখালেখির শুরু, জীবনের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে এখনো তাঁর কাব্য সাধনা চলেছে অক্লান্তভাবে। তাঁর লেখার মধ্যে প্রেম ও প্রকৃতিই প্রধান্য পেয়েছে সব সময়। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি কবিতার বই এবং দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে স্থান পেয়েছে তাঁর অনেক কবিতা। (মোবাইল – ০১৩২ ৯৭৩ ০০৯)