মায়া মমতা
– শামীম হাচান
মহান আল্লাহ্ তামাম পৃথিবীর মানবকুলকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলার মানুষের হৃদয়ে মায়া, মমতা, ভালবাসা, স্নেহ, প্রীতি, সখ্যতা ও সম্প্রীতি একটু বেশি দিয়েছেন বিধাতা ৷ বাংলার বাইরে তাকালেই তা অনুভব করা যায় ৷ বাংলার মায়েরা তার সন্তানকে কতই না ভালবাসে ৷ সর্বদা বাহুডোরে আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করে। তেমনি সন্তানও তার মা-বাবার প্রতি অনুগত ও শ্রদ্ধাবান হয়ে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে থাকে ৷ আর যাদের সন্তান নেই তাদের বুক সর্বদা বেদনায় কাতর থাকে৷ যে কোন মূল্যের বিনিময়ে তারা একটি সন্তানের মা-বাবা হতে চায়৷ ব্যাকুল হয়ে ওঠে মন একটি সন্তানের আশায়৷ যদি কোন মায়ের সন্তান কানা, খোঁড়া, বা প্রতিবন্ধী হয়ে থাকে তবুও সেই মা তাকে পরিত্যাগ করে না৷ আটষট্টি হাজার গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে সর্বত্র রয়েছে মায়া মমতা, ভালবাসার ছড়াছড়ি৷ বাংলার কোথাও ভালবাসার কোন ঘাটতি নেই৷
শাকিলার এস,এস,সি পরিক্ষা শেষ হতে না হতেই বিয়ের পিঁড়িতে। আগে থেকেই বিয়ের কথাবার্তা ঠিক ছিল৷ দিন মজুর বাবার মেয়ে বড়ই আদরের, তবুও বিয়ে দিয়ে পরের বাড়ী পাঠাতে হবে৷ এটাই তো বিধাতার লেখা, মেয়ে হয়ে জন্মালে পরের বাড়ী যেতে হবে।
গরীব ঘরে জন্ম নিলে মেয়েদের থাকে পায়ে পায়ে দোষ, থাকে নানান সমস্যা৷ একটু বয়স বেশি হলে, গায়ের রং কালো হলে, এমন কি লেখা পড়া একটু বেশি হলে পরবর্তিতে বিয়ে দিতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় কন্যা দ্বায়গ্রস্ত পিতার৷ তাছাড়া উপযুক্ত ছেলেও সব সময় পাওয়া মুশকিল।
রাসেল খুব ভাল ছেলে। সে ছোটখাট একটা ব্যবসা করে৷ খুবই কর্মঠ ছেলে, বাজে কোন আড্ডা বা নেশা নেই তার৷ মা-বাবার বড় সন্তান রাসেল, নম্র-ভদ্রতার কোন জুড়ি নেই৷ ভাল ভাবেই ছোট খাট আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়েই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হলো৷
স্বল্প আয়ের পরিবার অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে খুব ভালই জীবন যাপন করছিল নয়া দম্পতি৷ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে থাকে দেখে মনে হয়না তাদের মাঝে কোন অভাব বা অনটন রয়েছে৷ দিনের পরে রাত, রাতের পরে দিন – এভাবে দিন বদলের মধ্য দিয়ে পার হলো সুখে-দুখে জরিয়ে তিনটি বছর৷ তিন বছর পার হবার পর তাদের কোল জুড়ে এলো চাঁদের টুকরা, ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান৷ আনন্দের আর শেষ নেই – সবাই মহা খুশি৷ দাদা, দাদি, নানা, নানি, ফুফু, চাচা, মামা, খালা সবাই মহা আনন্দিত৷ যেন খুশির জোয়ার বইছে এই পরিবারে৷ এভাবে খুশি আনন্দের মাঝ দিয়ে কেটে যায় ছয় মাস৷
ছয় মাস যেতে না যেতেই সুখের উপরে দুখের কালো মেঘ এসে চেপে বসে! হঠাৎ করে শাকিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ কিছুদিন কেটে যায় অবহেলার মধ্য দিয়ে৷ সবাই মনে করেছে বাচ্চা হওয়ার কারণে শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে পা্রছে না, তাই গ্রাম্য ডাক্তার দেখিয়ে কিছু ভিটামিন ও ব্যথা নাশক কিছু ঔষধ খাওয়ানো হয়। কিন্তু কোন প্রকার উন্নতি দেখা যায় না৷ দিন দিন শুধু অবনতির দিকে ছুটে যাচ্ছে৷ প্রচন্ড পেটে ব্যথা, কোমর ব্যথা বলে চিৎকার করতো, কিন্তু কেহ কিছুই বুঝতে পারছেনা শাকিলার কি হয়েছে৷ এক সময় অবস্থা খুব অবনতির দিকে চলে যায়৷ গ্রাম্য ডাক্তার সাহেব নিজের স্বল্পজ্ঞানে কিছুই বুঝতে না পেরে এবং কোন রোগ ধরতে না পেরে পরামর্শ দেন শহরের বড় ডাক্তার দেখানোর জন্য৷ ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছে৷ বড় হাসপাতালের বড় ডাক্তার দেখানো হলেও অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে থাকে। নানা প্রকার টেষ্ট করানো হয়, এ সব রিপোর্ট দেখে ডাক্তার সাহেব বললেন, রাসেল সাহেব অনেক দেরি হয়ে গেছে!
রাসেল ব্যাকুল হয়ে বলে, কি হয়েছে ডাক্তার সাহেব?
উত্তরে ডাক্তার সাহেব বললো শাকিলার একটি কিডনি সম্পুর্ণ নষ্ট, আর অন্যটিও এক তৃতীয়াংশ নষ্ট হয়েছে, জীবনের আশা প্রায় সম্পুর্ণ শেষ৷
এ সব কথা শুনে রাসেলের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। ডাক্তার সাহেব বললেন, তবে তাকে বাঁচানো সম্ভব যদি তাকে একটা কিডনি দেয়া যায়।
কিন্তু কিডনি পাওয়া যাবে কোথায়? রাসেলের আছে মাত্র একটি কিডনি – অনেকদিন হল রাসেল তার একটা কিডনি তার প্রিয় বন্ধুকে দিয়েছিল৷ তাছাড়া এই অপারেশনের খরচও বহন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়! কোন রকম অভাবের মধ্য দিয়ে তার সংসার চলে৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পরে শাকিলার ছোট বোন এগিয়ে আসে একটি কিডনি দিয়ে জন্য বোনকে বাঁচাতে৷ বড়ই ভালবাসে এক বোন আর এক বোনকে৷ ডোনারের ব্যাবস্থা তো হলো। কিন্তু এখন প্রয়োজন অপারেশনের খরচ – কোথায় পাবে এত টাকা? খুবই হতাশাগ্রস্ত রাসেল৷
হঠাৎ করে হাসপাতালের রিসিপশনের কাউন্টারের উপর পত্রিকার একটি বিজ্ঞাপনের দিকে চোখ পড়লো৷ ছো মেরে পত্রিকাটি হাতে তুলে নিল, পড়ে দেখে একটি সন্তানের আশা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এক বিত্তবান দম্পতি। তাদের কোন সন্তান নেই, যে কোন মুল্য তারা দিতে রাজি একটি সন্তানের জন্য। কোন অভাব নেই টাকা পয়সার ঐ দম্পতির কিন্তু অভাব রয়েছে একটি সন্তানের, বুকের ভিতর হাহাকার করে তাদের একটি বার মা-বাবা ডাক শোনার জন্য৷ বিধাতার এ কেমন খেলা? যার আছে তার অনেক আছে, ধন-প্রাচুর্যে ভরা তার সংসার, কিন্তু তা খাবার লোক নাই। অন্য দিকে যারা খাবার লোক আছে তার অর্থকড়ি বা টাকা-পয়সা নেই৷
রাসেল পত্রিকার বিজ্ঞাপন দেখে থমকে যায়। নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। হঠাৎ একটি চিৎকার শুনে সে আবার স্বাভাবিক হয়, শাকিলার ব্যথা প্রচন্ড আকার ধারণ করেছে, সহ্য করার মত নয়৷ সারা হাসপাতাল যেন কেঁপে উঠছে শাকিলার চিৎকারে৷ রাসেল আর সহ্য করতে না পেরে পত্রিকার ঠিকানা নিয়ে চলে যায় তাদের কাছে৷ ফারুক সাহেব রাসেলের সকল কথা শুনে তাদের সব খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন৷ ভাবতে কষ্ট লাগে নিজ সন্তান কে বিক্রি করে দিতে হবে। তার পরেও আর কী করা – অভাবের কাছে হার মানতে হল রাসেল, তাদের ছয় মাসের পুত্র সন্তান চাঁদের টুকরোকে ফারুক সাহেবের কাছে হস্তান্তর করতে রাজি হতে হলো শাকিলাকে বাঁচাবার জন্য৷
রাসেল হাসপাতালে ফিরে এসে ডাক্তার সাহেবের সাথে অপারেশনের বিষয়ে আলাপ করলো। ডাক্তার সাহেব বললেন, যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন করতে হবে, তবে প্রথমে আপনাকে কাউন্টারে সকল টাকা জমা দিতে হবে৷
রাসেল সকল বিষয় শাকিলাকে জানায়। কিন্তু শাকিলা রাজি হয়না। সে বলে, আমার সন্তান বিক্রি করে আমি বাঁচতে চাইনা, আমার সুস্থতার কোন দরকার নেই৷ এর চেয়ে আমার মৃত্যুই ভাল।
একথা বলে শাকিলা কান্নায় ভেঙ্গে পড়। রাসেল সান্তনা দিয়ে নানান কথা বলে শাকিলাকে বুঝানো চেষ্টা করলো, দেখ তুমি যদি বেঁচে না থাক তাহলে আমাদের সন্তানকে দেখবে কী করে, আমাদের সজল সুখে আছে নাকি দুখে আছে? তাছাড়া ফারুক সাহেব খুব ভাল লোক, টাকা-পয়সারও কোন কমতি নাই। আমাদের সন্তান আমাদের কাছে যেমন থাকতো তার থেকে আরো ভাল থাকবে ফারুক সাহেবের কাছে৷ তাছাড়া তুমি সুস্থ হলে যখন খুশি তখন সজলকে দেখতে পারবে এবং মাঝে মাঝে তোমার কাছে এনে রাখতে পারবে৷ কিন্তু তুমি যদি না থাক তাহলে সজলকে দেখবে কী করে? অনেক সত্য-মিথ্যা বলে রাসেল শাকিলাকে রাজি করালো৷
ডাক্তার সাহেব বললো, আগামি কাল অপারেশন করা হবে বিকাল পাঁচটার সময়৷ রাত্র পোহালেই অপারেশনের দিন। রাতটা কোন রকম কষ্ট করে পার করলো সবাই৷ সকাল বেলা ফারুক সাহেব হাসপাতালে এসেছে শাকিলাকে দেখতে এবং বাচ্চাটা নিয়ে যাবার জন্য৷ ফারুক সাহেব এবং রাসেল আলাপ করছে সজলকে নিয়ে। কেবিনের বাহিরে দাড়িয়ে ওরা মনে করেছে শাকিলা ঘুমাচ্ছে। কিন্তু না, ও সব কথা শুনেছে৷
ফারুক সাহেব বলছে, দেখ রাসেল, আমি কিন্তু এই সন্তানকে আমার পরিচয়ে বড় করবো তোমাদের কোন দাবি বা আপত্বি শুনবো না পরবর্তিতে এই সন্তানের কোন আবদার করতে পারবেনা৷ তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজই সজলকে নিয়ে অন্য এলাকায় চলে যাব৷
রাসেল বলে, ফারুক সাহেব আগে অপারেশনটা হোক তার পরে না হয় যাবেন!
না না, আমি অপারেশনের আগেই নিয়ে চলে যাব।
রাসেল ফারুক সাহেবের হাত-পা ধরে কেঁদে কেঁদে বললো, দ্যাখেন স্যার, অপারেশনের পর জ্ঞান ফিরলে শাকিলা যদি সজলকে দেখতে না পায় তাহলে ওকে বাঁচানো সম্ভব হবে না৷
অনেক কাকুতি মিনতি করার পরে ফারুক সাহেব রাজি হলেন। কিন্তু বললেন, এর পরে আর কোন বায়না শুনবো না আমি৷
এ সকল কথা শাকিলা শুনে নেয়, কিন্তু কাউকে কিছুই বলে না৷ অপারেশনের কিছুক্ষণ আগে শাকিলা সজলকে দেখতে চায়, বলে, আমার কলিজার টুকরাকে নিয়ে আসো, আমি একটু দেখবো। হয়তো বা এটাই আমার শেষ দেখা হবে, জীবনের শেষ আদর করে দেই৷ আমার মন বলছে হয়তো আমি আর বাঁচবো না৷ আর হয়তো বা আমার বাবাকে আমি আর দেখতে পাবোনা – কাঁদতে কাঁদতে এ সব কথা বলছে শাকিলা৷ একটু দয়া করে নিয়ে আস আমার বাবাকে।
অনেক অনুরোধের পরে সজলকে শাকিলার কাছে এনে দিল রাসেল৷ বাচ্চা তার মায়ের কোলে আসার সাথে সাথে কান্না থামিয়ে দিলো, যেন সে এখন স্বর্গে আছে। আর মায়ের মুখের পানে তাকিয়ে কী জেনো নালিশ করছে, হয়ত বলছে, মাগো, ওরা তোমার কাছ থেকে আমাকে আলাদা করে রাখতে চায় ৷ কেন বলোতো মা? তোমার মত করে কি ওরা আমাকে আদর করতে পারবে?
মা ও ছেলে দুজন দুজনার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে বেশ কিছুক্ষণ ৷ দু নয়নের অশ্রুতে ভিজে যাচ্ছে সজলের শরীর৷ সবাই শাকিলাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললো, এত চিন্তা করো না, তুমি ঠিক ভাল হয়ে যাবে। আর তুমি তোমার সন্তানকে কাছেই রাখতে পারবে৷ চলো, এবার সজলকে দাও ওদের কাছে, ও-টি রুমে যেতে হবে চলো৷
শাকিলা চিৎকার দিয়ে বলে, না, আমি আমার সন্তানকে কারো কাছে দিব না। আমি তোমাদের সব কথা শুনেছি, সকালে তোমরা যা যা বলেছো৷ তোমরা মনে করেছো আমি ঘুমিয়ে আছি? না, আমি ঘুমাই নি, সব শুনেছি।
এই কথা বলে সে আবার কাঁদতে শুরু করে, আমি বেঁচে থাকতে আমার সন্তান আমি বিক্রি করবো না ৷ চাইনা আমি এমন জীবন সন্তানের বিনিময়ে৷ চলে যাও আমার সামনে থেকে সবাই, চলে যাও ৷ আমি বাঁচতে চাই না। আমার বেঁচে থেকে কি লাভ যদি আমার সন্তানই আমার কাছ থেকে আলাদা থাকে? এর মত কষ্ট আর এই পৃথিবীতে আর কিছুই হতে পারে না! এ আমি কিছুতেই হতে দেবো না। এই কথা বলে শাকিলা আঁকড়ে ধরে রাখে সজলকে৷ কেউই সজলকে তার কাছ থেকে আলাদা করতে পারছে না ৷ অনেক জোরাজুরি করার পরেও মা ও ছেলেকে আলাদা করতে পারছে না কেহ, অনেক চেষ্টা ও টানা হেচড়া করার পরেও সবাই ব্যর্থ৷ সবাই অপারক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো অনেক্ষণ, হঠাৎ করে দেখলো কিছুক্ষণ পরে সজলকে বুকে জড়িয়ে রাখা অবস্থায় শাকিলা শুয়ে পড়লো, হাত ধরতেই সজলকে ছেড়ে দিল৷
ডাক্তার সাহেবকে ডেকে আনা হলো। ডাক্তার সহেব এসে বলে, ও-টি রেডি, আর আপনারা এখনো এখানে বসে আছেন? জলদি রোগীকে নিয়ে আসুন। তখন রাসেল বলে, ও তো অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে, তাই নিতে পারিনি।
ডাক্তার সাহেব চমকে উঠে বলেন, কী? কতক্ষণ হলো?
সজল বললে, মিনিট দশেক।
ডাক্তার সাহেব তাড়াতাড়ি হাতে হাত দিয়ে দেখলেন যে ……….,………
কবি পরিচিতি

শামীম হাচান। ফেব্রুয়ারি ২৮, ১৯৮৭ সালে মোংলা উপজেলার শেলাবুনিয়া গ্রামে জন্ম। গ্রামের বাড়ি বলতে দাদা বাড়ি ছিল চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ থানার মুছাপুর গ্রামে৷ জন্ম সুত্রে সে মোংলা থানার উত্তর চাঁদপাই গ্রামে বাবা মোঃ আব্দুল্লাহ্ শেখ, মাতা মোছাঃ হাজেরা বেগম ও দুই ভাই সহ মোট তিন ভাই এবং এক বোনের সমন্নয়ে একত্রে বসবাস করে আসছে ৷
পরিবারের বড় সন্তান হওয়ার কারণে খুব আদরের ছিল, যার কারণে লেখা পড়ায় বেশ মনোযোগী হওয়া সত্ত্বেও সঠিক সময়ে স্কুলে যাওয়া হয়নি ৷ শিক্ষা জীবনে প্রথম পদার্পন ১৯৯৫ সালে শিশু শ্রেনীতে মোংলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে, ২০০০ সালে সেন্ট পলস্ উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং ২০০১ সালে চাঁদপাই মেছেরশাহ্ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ২০০৬ সালে এস এস সি এবং ২০০৮ সালে মোংলা টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে এইস এস সি পাস করার পরে শিক্ষা জীবনের ইতি৷
স্কুল জীবন থেকেই লেখলেখির উপর খুব আগ্রহ৷ জীবিকার তাগিদে নানা ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের পর বর্তমানে ব্যাবসায় জড়িত ৷ তবুও নানা ব্যস্ততার মধ্যেও লেখালেখি থেমে নেই ৷ ইতি মধ্যে কবিতা প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি ঝৌথ কাব্য গ্রন্থে। এছাড়া বেশ কিছু ছোট গল্প, ছড়া, কবিতা প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন ম্যাগাজিন, জাতীয় দৈনিক এবং সাপ্তাহিক পত্রিকায়। বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে তার লেখালেখি ৷ সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী যেন আগামিতে আরো উন্নত লেখা পাঠকদের উপহার দিতে পারেন তিনি।