শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ – কবিতা (আমি আল-আমিন, ভিখারিনী, জানতাম)

আমি আল-আমিন

– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ

আমার নাম আল-আমিন
খেলা করি সারাদিন।

বন্ধুরা কয় দুষ্টু ভারি
তাই আমি ধরছি আড়ি।

লেখাপড়া করে
ঘুরব বিমান চড়ে।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বো
সোনার বাংলা গড়বো।

‘আল-আমিন’ – কবি শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ-এর দাদুর নাম, বর্তমান বয়স ৩ বছরেরও একটু বেশী। জন্ম ২০২০ সালের ২১শে ফেরুয়ারি বিকাল ৫টা। দাদুকে নিয়ে লেখা কবির এই কবিতাটিতে সকল ছোটদের দেশপ্রেম ও আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ব্যক্ত হয়েছে সংক্ষিপ্ত আকারে। কবির বিশেষ অনুরোধে এই কবিতাটি এখানে প্রকাশিত হলো।

ভিখারিনী

– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ

যার তলাসে আজকে আমি
​ ​ ​ ​ ​ পথের ভিখারিনী
কোন গ্রামে নিবাস তাহার
​ ​ ​ ​ ​ তাওতো নাহি জানি।
জানি রহমান নামটি তাহার
তাহার তুল্য নাইযে আর।
জীবন মরণ সেইতো আমার
​ ​ ​ ​ ​ তাকেই শুধু মানি।

সারা জীবন পথে ঘুরে
​ ​ ​ ​ তাহার সন্ধান পেলাম না
কত জনায় জিজ্ঞাসিলাম
​ ​ ​ কেউ তো সন্ধান দিল না।
যদি দেখা নাইবা দিবে
রহমান সে কেমনে হবে।
সেই কথাটি ভেবে ভেবে
​ ​ ​ ​ ​ কাটে রজনী।

কী যে তাহার তাল বাহানা
​ ​ ​ ​ কিছুই বুঝি না
চক্ষু দিল দেখার লাগি
​ ​ ​ ​ ​ তাকে দেখি না।
আমায় নিয়ে কতো খেলবে
কবে খেলার শেষ হবে।
কবে কোথায় দু-চোখ ভরে
​ ​ ​ ​ দেখবো সুরতখানি।

জানতাম

– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ

জানতাম সেদিন, থাকব না যেদিন
​ ​ ​ ​ ​ কেউতো মনে রাখবে না
আমায় ভেবে ডাগর চোখে
​ ​ ​ ​ ​ একটু জল ঝরবে না।
কাটবে দিন খুশী মনে
আমার লেখা গানে গানে।
যে যার মতো হাসবে-খেলবে
​ ​ ​ ​ দীর্ঘশ্বাস ফেলবে না।
জানতাম সেদিন, থাকব না যেদিন
​ ​ ​ ​ ​ কেউতো মনে রাখবে না

আকাশ ভরা তারার মেলায়
​ ​ ​ ​ কেঊতো আমায় খুঁজবে না
আকাশ বঁধু আমায় পেয়ে
​ ​ ​ ​ আনন্দে হবে আটখানা।
বলতে থাকবে ওগো কবি
মানুষ হলো স্বার্থ লোভী।
স্বার্থের টান পড়লে পরে
​ ​ ​ ​ আপন-পর চেনে না।
জানতাম সেদিন, থাকব না যেদিন
​ ​ ​ ​ ​ কেউতো মনে রাখবে না


কবি পরিচিতি

শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ। জন্ম অক্টোবর ২৭, ১৯৫৩ সালে বাগেরহাট জেলার মিঠাখালী গ্রামে। পিতা খাদেম আলী শেখ ও মাতা জয়নাব বেগম। মোংলা উপজেলার টাটিবুনিয়া স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৭০ সালে বাগেরহাট সরকারি পি সি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ।

সহজ ও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক বাউল কবি তিনি – কবির চিত্ত কাব্য সাধনার অনন্য এক ভূমি। তাই কিশোর বয়স থেকে যে লেখালেখির শুরু, জীবনের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে এখনো তাঁর কাব্য সাধনা চলেছে অক্লান্তভাবে। তাঁর লেখার মধ্যে প্রেম ও প্রকৃতিই প্রধান্য পেয়েছে সব সময়। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি কবিতার বই এবং দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে স্থান পেয়েছে তাঁর অনেক কবিতা। (মোবাইল – ০১৩২ ৯৭৩ ০০৯)