বিজয়া – কবিতা (ভগবতী দুর্গা, ভালো আছি থাকিবো ভালো, প্রভাতের ফুল)

ভগবতী দুর্গা

– বিজয়া

এসো ওগো এসো দেবী ধরণীতে, এসো কৈলাস হতে
হিংসায় হয়েছে উন্মত্ত সকল জগৎ, পূর্ণ অসুরেতে।

ক্ষুধায় যারা মৃত্যুমুখী, নিষ্পেষিত বঞ্চিত যত প্রাণ
দুষ্টেরে করিয়া সংহার আনো সাম্য, প্রতিকার করো দান।

তোমাকে করি আহবান, এসো শক্তি নির্মল মুগ্ধ কান্তি
নিঃপীড়িতের আশা তুমি, আনো মুক্তি সুন্দর শান্ত শান্তি।

মৃত্যুর মাঝে জন্মের খেলা তোমার ত্রিশূল ঝলকি ঝলকে
অকাল মাঝে কালেরে ডোবাও, ফোটাও অভয় বানী বিশ্বলোকে।

পূর্ণরূপা ভগবতী দুর্গা তুমি, শোভা মনোহরা
রহিলো প্রণাম চরণে তোমার, মাতা তুমি, হে অবিনশ্বরা।

ভালো আছি থাকিবো ভালো

– বিজয়া

ভালো আছি, থাকিবো ভালো
মনেতে কেনো অযথা রাখিবো অন্ধকার কালো?
এ পৃথিবী সুন্দর, রূপ তার অপরূপ মনোহর
সেই রূপে আমিও দেখিবো আমাকে, দেখিবো সবার অন্তর।

আছে দুঃখ, আছে ব্যথা
জনমে জনমে মরণের শোকগাঁথা
অশেষ বেদনা, না পাবার রোদন
বঞ্চিতের ম্লান মুখ, শোষিতের বিষণ্ণ বদন।
কে দেবে সান্ত্বনা, কে ভাঙ্গিবে অত্যাচারীর হাত-
আছে প্রশ্ন, কখন আসিবে সেই মুক্ত প্রভাত?

কতকিছু ঘটিতেছে চারিদিকে, মনেতে জাগায় বিষাদ
তবু আমি করি অর্চনা, চাই দেবীর প্রসাদ।
জানি না কী মোহ-জড়তা আছে এই জীবনে, ভাঙ্গিতেছে না ভয়
তবু আমি প্রত্যাশী, একদিন হবে সুন্দর ও ন্যায়ের জয়।

সলিতায় পুড়িতেছে তেল, আগুনে জ্বলিতেছে ধূপ
তাহারই মাঝে আমি খুঁজিতেছি শান্তি, জগতের সত্য স্বরূপ!

প্রভাতের ফুল

– বিজয়া

ও কি এলো, চঞ্চলা চলিলো
ও কি পাপড়ি মেলিয়া ফুটিলো-
ও কি ডাকিলো সকলে,
মুখরিত করিলো বনতল।

প্রভাতে আসিয়াছে এ ধরায়
পুলক ভরা ভালোবাসায়
স্বপন ভরা চোখে ঝলমল আলো
হেলিয়া-দুলিয়া নানা দোলে কত সে হাসিলো।

ছন্দে মাতাইলো জগতজনে,
সুধাভরা আঁখি কোণে
নানা গীত গাহিলো
ভাসিয়া হালকা পবনে।

যে দেখিলো তারে
বলিলো, আহা রে
স্বার্থক জনম ওর, অপূর্ব লাবণী
লাবণ্যে সুবাসিত করেছে ধরণী।

প্রভাতের ফুল ফুটেছে প্রভাতে
ভাবে নাই কিছু কেন এসেছে জগতে;
হাসিয়া-খেলিয়া যাইবে সে চলিয়া
মাখাইয়া খুশী সকলের মনেতে


কবি পরিচিতি

বিজয়া। পরিচিতি প্রকাশে অনিচ্ছুক।