শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ – কবিতা (আমার বক্ষে, রঙ্গিন চশমা, ধনী হতে)

আমার বক্ষে

– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ

আমার নবীর রওজা যদি
​ ​ ​ বক্ষে আমার হতো
সকল হাজীর পায়ের ধূলি
​ ​ ​ জীবন রাঙিয়ে দিতো।
নবী প্রেমে জীবন তখন
ফিরে পেতো সত্য জীবন।
নবী প্রেমের রঙ্গিন ফুলে
​ ​ ​ জীবন ছাপিয়ে যেতো।
আমার নবীর রওজা যদি
​ ​ ​ বক্ষে আমার হতো।

দেশ বিদেশের হাজীরা সব
​ ​ ​ নবীর রওজা ঘিরে
আল্লাহ নামের করতো জিকির
​ ​ ​ গোনাহ মাপের তরে।
গোনাহ মাপ চেয়ে চেয়ে
ফেলতো পানি দুচোখ দিয়ে
সেই পানিতে আমার পাপও
​ ​ ​ হয়তো ধুয়ে যেতো।
আমার নবীর রওজা যদি
​ ​ ​ বক্ষে আমার হতো।

রঙ্গিন চশমা

– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ

​জীবনে যারে পারোনি দিতে
​ ​ ​ ​ ​ একটি প্রেমের ফুল
আজকে কেন তার কবরে
​ ​ ​ ​ ​ ঝরাও চোখের জল।
ভালোবাসার ভিক্ষুক সেজে
এসে ছিলো দ্বারে সে যে।
না চিনিয়া বুকের মানিক
​ ​ ​ বললে তাকে কাল।
জীবনে যারে পারোনি দিতে
​ ​ ​ একটি প্রেমের ফুল।

রঙ্গিন চশমা ছিল সেদিন
​ ​ ​ হয়তো তোমার চোখে
রঙ্গিন চশমার রংয়ের খেলায়
​ ​ ​ চেনোনি সেদিন তাকে।
যৌবন আজ ভাটায় পড়ে
রঙ্গিন চশমা গেছে উড়ে।
যৌবন কাল বড্ড খারাপ
​ ​ ​ সবি করে গড়-মিল।
জীবনে যারে পারনি দিতে
​ ​ ​ একটি প্রেমের ফুল।

ধনী হতে

– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ

ধন থাকলেই হয় না ধনী
​ ​ ধনী হতে মন চাই
আছে যাহার ধনী মন
​ ​ সবে তাকে ধনী কই।

ধনী মনে হিংসা কভু
​ ​ ​ পায় না কিন্তু ঠাঁই
জাত-জাতির তফাৎ ভুলে
​ ​ ​ জানে সবে ভাই।

হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান
​ ​ ​ সবি মানুষ জানে
একই স্রষ্টার সৃষ্টি সবে
​ ​ ​ এটাই তারা মানে।

মুচি মেথর, গরীব কাঙাল
​ ​ ​ ওরাও মানব জাতি
মানুষ হয়ে মানুষে ঘৃণা
​ ​ এটাই বা কোন রীতি?

আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা
​ ​ গর্ব করিয়া বলি
বলতে পারো স্বার্থের টানে
​ ​ সে কথা কেমনে ভুলি।

থাকতে সময় পারো যদি
​ ​ ​ সঠিক পথ ধরো
আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা
​ ​ ​ কর্মে প্রমাণ করো।

যেদিন তুমি দুখীর দুঃখ
​ ​ ভাগ করিয়া নেবে
বিশ্ববাসী ঠিকই সেদিন
​ ​ তোমায় ধনী কবে।

ধনী হতে ধনী মনের
​ ​ অধিকারী হতে হবে
জেনে রেখো তবেই তুমি
​ ​ ​ মরলেও ধনী রবে।


কবি পরিচিতি

শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ। জন্ম অক্টোবর ২৭, ১৯৫৩ সালে বাগেরহাট জেলার মিঠাখালী গ্রামে। পিতা খাদেম আলী শেখ ও মাতা জয়নাব বেগম। মোংলা উপজেলার টাটিবুনিয়া স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৭০ সালে বাগেরহাট সরকারি পি সি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ।

সহজ ও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক বাউল কবি তিনি – কবির চিত্ত কাব্য সাধনার অনন্য এক ভূমি। তাই কিশোর বয়স থেকে যে লেখালেখির শুরু, জীবনের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে এখনো তাঁর কাব্য সাধনা চলেছে অক্লান্তভাবে। তাঁর লেখার মধ্যে প্রেম ও প্রকৃতিই প্রধান্য পেয়েছে সব সময়। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি কবিতার বই এবং দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে স্থান পেয়েছে তাঁর অনেক কবিতা। (মোবাইল – ০১৩২ ৯৭৩ ০০৯)