মল্লিকা রায় – কবিতা (চাইলেই, হতশ্রী সময়, শতবর্ষ হলে)

চাইলেই

– মল্লিকা রায়

কি নেই –
দরবার থেকে
মিছিগিনি ছক পর্যন্ত
অঢেল জোযনা
চাইলেই
কৌমবতী, সর্বাঙ্গ জুড়ে
চতুর্দশী আলোয়
ঝলমল করে উঠবে –

বুনোঝোঁপ ঝাড়
ঐহিক তন্ত্রে জবাই চলেছে
শ্রেণীদ্বন্দ্বের,
মৃত পরে আছে
একরাশ বোবা অক্ষর।

হতশ্রী সময়

– মল্লিকা রায়

যুদ্ধে গেছে বাপ, সড়কি বল্লমের খোঁচা
এসে লাগছে কানে
লাল ডুরে শাড়িটার সাথে
ম্যাচিং ঝুমকা আর গজমোতি মালা
তেমনি লোটানো খাটে
বলে গেছে ফিরলে ‘পরব’ নতুবা…..

প্রচার চলছে ‘একটা কিনলে দু’টো ফ্রি ‘
ল্যঙ্কসায়রের পথে উপচে পড়েছে আনাগোনা
আতঙ্কিত ল্যাবের জনতা
সমুখে
সক্রিয় লাইভ ক্যাম্প
টুং টাং বাজছে ক্যসিনেয়
টুক করে সেরে নেওয়া যায় আইরিশ লুক
ক্যসিনোভার চৌদ্দ আইটেমে…

সন্ধ্যার পর নিরালা রাত্তির
যূপকাষ্ঠে মর্মর দেবতা, যুদ্ধ শেষের ছাই
স্তূপীকৃত ঘরদোর গঞ্জের সৈনিক
আর……

ইতি
না ফেরা বাবার অন্তিম চিরকূট

শতবর্ষ হলে

– মল্লিকা রায়

ভাঙিয়ে বলা – খুচৱো কথাৱা
ৱেখে দিলে কবৱতলায়, আগুণ জ্বেলেছ
পাতা গৃহে যে উৎসব হল
ধোওয়া, ধুলো দৱবাৱে
জীবাশ্মেৱ বাহাদুৱি শুধু, মর্মে নিলে না!

বলে চলি ৱঙিন ফানুস
বুদ্বুদ জলে ষষ্ঠেন্দ্রিয়গুলো, ৱুপান্তৱ হলে –
অই যেন শতজন্ম পৱ
জনমেৱ মায়া মোহ মাখা
জীবনতলায় ছুঁয়ে আসি ঠেকনাৱ মত
কে কখন ওড়ায় সে ধুলো –

সংগোপনে আছি, ছুঁয়ো না এ মোহ
খড় কুটো হয়ে
বয়ে যাক পিছু ফেৱা কিছু
একেই শৃঙ্খলা ভেবে নিও, অথবা সাৱাৎসাৱ

ধুক্ কৱে জ্বলে ওঠা বুক
চিৱন্তন
চলা ফেৱা থেকে
ঠিক যেন অবিকল কিছু, সদ্গতি হলে
সে ধুলোয় উড়িয়ে কথাৱা
বেঁচে থাকি কাব্যহাৱা
ছত্রাকেৱ মত!

উঠে যেন ফিৱে আসি পাৱে
অথৈ চুবিয়ে, দু’ ছটাক নৈঃশব্দ্য জল
বিছিয়ে ৱেখেছো তপ্ত বালুতট!
মুছে গেছে দু’ দশক সব
চিহ্নিত মুখোশ ঢেকেছে – কাড়াকাড়ি
শব্দ দৃশ্যগুলো l


কবি পরিচিতি


মল্লিকা রায়। বারাসাত, উঃ চব্বিশ পরগণা। লেখেলেখি একপ্রকার নেশা। বাৎসরিক ‘পদক্ষেপ’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদিকা।​