মসজিদে চল
– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ
আজান হলো মসজিদে চল
ওরে ও পরদেশী
নিজের দিকে দেখরে চেয়ে
নাইরে বেলা বেশী।
খোদার সাথে হইবে দেখা
জায় নামাজের পরে
তখন তোর মনের কথা
বলিস পরাণ ভরে।
পড়তি বেলায় কোন ভরসায়
থাকিস রে তুই বসি।
হাদীস খুলে দেখরে খুঁজে
সেথায় লেখা আছে
এই দুনিয়ার রং-তামাসা
হবে সবি মিছে।
সেদিন তোরে নেবে ধরে
নিঠুর মরণ আসি।
আল্লাহ যদি ভালোবাসে
থাকবে না তোর ভয়
কাল হাশরে শেষ বিচারে
হবে রে তোর জয়।
বুঝবি না আজ সে আনন্দ
রাখবি কোথায় পুশি।
আজান হলো মসজিদে চল
ওরে ও পরদেশী।
মানবতা নেই
– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ
মানুষ আছে মানবতা নেই
মানবতা গেল কই?
আজকে দেখি মানবতার মাঠে
কসাই দিচ্ছে মই।
ইবলিচ শয়তান হাসিয়া খুন
আনন্দ ধরে না তার
আদম আজ হয়েছে বন্ধু
ভাবনা কিসের আর।
যত হানাহানি মানুষে মানুষে
ভাইয়ের বিচার নাই
স্বার্থই তারা বড় জানে
স্বার্থই শুধু চাই।
বোমাবাজি বলো চাঁদাবাজি বলো
সবই তো মানুষেই করে
ভাবিয়া দেখেছো মনাবতার মা
আছে না গেছে মরে।
আজকে মানুষ মানষের বুকে
নির্বিচারে বসায় চাকু
ক্ষমে না তারা লুটিতে আজ
মায়ের ইজ্জতটুকু।
আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা
ভাবিয়া দেখেছো আজ?
শয়তানের হাতে, হাত মিলাতে
একটুও করে না লাজ।
আমার কী সংশয়
– শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ
বেহেস্ত যদি নাইবা জোটে
দোজখের নাই ভয়
আল্লাহ আমার থাকলে খুশি
আমার কী সংশয়?
আল্লার নির্দেশ মাথায় বয়ে
জীবন যেন কাটে
ভালোমন্দের ধার ধারি না
তাতে যাহাই ঘটে।
আল্লাহ নামের তছবি যদি
থাকে মোর গলায়।
ইবলিচ শয়তান ঠাঁই পাবে না
থাকলে ইমান ছাপ
ষড়রিপুর ছোবল থেকে
পাইবে সকল মাপ।
ভাবুক মনের আকুল আশা
দয়া চাহে আল্লায়।
বেহেস্ত যদি নাইবা জোটে
দোজখের নাই ভয়।
কবি পরিচিতি

শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ। জন্ম অক্টোবর ২৭, ১৯৫৩ সালে বাগেরহাট জেলার মিঠাখালী গ্রামে। পিতা খাদেম আলী শেখ ও মাতা জয়নাব বেগম। মোংলা উপজেলার টাটিবুনিয়া স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৭০ সালে বাগেরহাট সরকারি পি সি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ।
সহজ ও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক বাউল কবি তিনি – কবির চিত্ত কাব্য সাধনার অনন্য এক ভূমি। তাই কিশোর বয়স থেকে যে লেখালেখির শুরু, জীবনের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে এখনো তাঁর কাব্য সাধনা চলেছে অক্লান্তভাবে। তাঁর লেখার মধ্যে প্রেম ও প্রকৃতিই প্রধান্য পেয়েছে সব সময়। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি কবিতার বই এবং দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে স্থান পেয়েছে তাঁর অনেক কবিতা। (মোবাইল – ০১৩২ ৯৭৩ ০০৯)