শুনি চরণধ্বনি
– অজিত কুমার কর
সহসা বাজিল শঙ্খ।
নবজাতকের ক্রন্দনধ্বনি, ভরিল মায়ের অঙ্ক।
উদিল তপন নীলাভ গগনে
অতুল গরিমা দখিন পবনে
আলোতে ভরিল কানন আনন বাজিবে বিজয়-ডঙ্ক।
মা’র কোল হতে উঁকি দিয়ে দেখে সুবিশাল এই বিশ্ব।
চোখ বুজে ফের সুধাপানে রত
পুরনারী সবে দূরে ছিল যত
আসিল হরষে চমকি উঠিল দেখে মনোহর দৃশ্য।
চাঁদপানা মুখ টানাটানা চোখ প্রকৃতিতে অনুরক্ত।
পুকুরের ধারে ডাহুকেরা ডাকে
কত মধুকর বসে আছে চাকে
শিশুমনে জাগে কতনা ভাবনা তাই নিয়ে সদা মত্ত।
বাহিরে যাবার নাহি অনুমতি ঘরের ভিতরে বন্দি।
সর্বদা থাকে কেহ পাহারাতে
মা’র দেখা মেলে শুধু নিশিরাতে
ভাবনাকুসুম কাঁদিয়া বেড়ায় উবে যায় যত ফন্দি।
সুরের ভুবনে তাঁর বিচরণ নয়নে গভীর দৃষ্টি।
খাতা ভরে ওঠে শত শত গানে
মিঠে সুর বাজে লাগে এসে কানে
রহিবে অটুট মানমর্যাদা ঠাকুরবাড়ির কৃষ্টি।
দিবানিশি শুধু লেখা আর লেখা কবিতা নাটক গল্প।
কখনও কলমে ভ্রমণ কাহিনী
দূরে দূরে থাকে প্রিয়া মৃণালিনী
অতি বেগবতী লেখনী কবির নহে তা কষ্টকল্প।
গীতাঞ্জলির সুরভি সুষমা হরণ করিল চিত্ত।
জগৎসভায় নন্দিত তিনি
নোবেল প্রাইজ আনিলেন জিনি
এ’দেশের কবি অমেয়ভুষণে প্রতীচ্যে অভিষিক্ত।
তব গৌরবে গর্বিত দেশ জাগিল বিপুল হর্ষ।
মহিমণ্ডিত নাইট উপাধি
তব বিভূতিতে অর্পিল সাধি
ফিরালে অচিরে উনিশ উনিশে হত্যালীলার বর্ষ।
বিগলিত প্রাণ দুঃখমোচনে লেখনী জোগাল শক্তি।
পরাধীনতার মর্মবেদনা
কবিকে নিয়ত করে উন্মনা
পথসন্ধানে সদা সচেষ্ট অন্তরে দেশভক্তি।
সুদূরপ্রসারী ভাবনা কবির বিজুলির দ্যুতি চক্ষে।
পাঠদান হবে খোলা পরিবেশে
শুরু করিলেন আমাদের দেশে
তরুছায়াতলে পড়িছে শিশুরা হাসিখুশিভরা বক্ষে।
দেশবিদেশের শিক্ষার্থীরা জুটেছে আম্রকুঞ্জে।
প্রথাগত পাঠ সাথে নাচ গান
হাড়ি-মুচি-ডোম সবাই সমান
শান্তির নীড়ে আপন খেয়ালে হেথাহোথা অলি গুঞ্জে।
বোলপুর যেন নব তপোবন বাতাসে মধুর গন্ধ।
চকিত হরিণী ধাইছে কাননে
পিক গেয়ে ওঠে আমলকী বনে
পলাশে শিমুলে রাঙা বনবীথি হেরি অনুপম ছন্দ।
তাপিত হৃদয়ে সুরের পরশ এনে দেয় সুখশান্তি।
যেন চলে যাই অপরা ভুবনে
নিজেরে হারাই প্রতি ক্ষণে ক্ষণে
ভেসে ওঠে চোখে বিমূর্ত রূপ শোভন গৌরকান্তি।
কতনা তীর্থ সারা দেশজুড়ে দর্শনে লভি পুণ্য।
কানে যেন আসে তব পদধ্বনি
মনে হয় যেন আসিবে এখনি
উত্তরায়ণ-উদীচী-শ্যামলী আজিকে স্তব্ধ শূন্য।
এসেছিলে তুমি ধরণির বুকে করিতে সবারে ঋদ্ধ।
তোমার বিহনে কাটে না যে দিন
তুমি না রহিলে দশা সঙ্গিন
যে যাই বলুক অন্তরে জানি এ কথা সতত সিদ্ধ।
বর্ষবরণ-হোলি-পৌষমেলা খুলে দেয় দ্বার রুদ্ধ।
বারোমাস ধরে কত পার্বণ
চলে ঠিকঠাক এখনও তেমন
উপাসনাগৃহে প্রার্থনা রোজ চিত্তকে করে শুদ্ধ।
বিদ্রুপবাণে বিদ্ধ করেছে তবু অবিচল চিত্ত।
বুঝিল যেদিন মহিমা তোমার
অনুশোচনায় হ’ল ছারখার
ভ্রান্ত ধারণা ঘুচিল অচিরে তুমি যে সত্য নিত্য।
এখনও অবাধে কুৎসা রটনা এতে যে সিদ্ধহস্ত।
আত্মপ্রচারে পড়ে গেছে ধুম
অতিরঞ্জিত কল্পকুসুম
চাতুরিতে ভরা বানানো গল্প আপনি লেখক মস্ত।
আজ তুমি নেই আছে তব গান সুরের জাদুতে মুগ্ধ।
জীবনের যত আপদে বিপদে
ভরসা জোগাও তুমি প্রতি পদে
শির উঁচু করে এগোতে শিখেছি জিনিতে জীবনযুদ্ধ।
চিত্ত সবার বিকশিত কর ওঠে যেন নব সূর্য।
বসুমতী হোক আনন্দলোক
শান্তির দূত বুদ্ধ অশোক
আজি শুভদিনে এসোনা এগিয়ে বাজাই বিজয় তূর্য।
শ্রোতা রবীন্দ্রনাথ
– অজিত কুমার কর
আমার একটা বাগান আছে জোগায় রোজই ফুল
কী ফুল আমি ভালোবাসি জানে সে বিলকুল।
ফুলের গায়ে রং লাগাতে কে দেয় তুলির টান
প্যালেটভরা রামধনু-রং তাই পড়ে না টান।
বাগান-পাশেই কোপাই নদী ছুটছে অবিরাম
কেবল গতি বাড়ে কমে মেলে না বিশ্রাম।
আমার প্রিয় সোনাঝুরি শান্তিনিকেতন
পরিযায়ী পাখির মেলা দিঘির পাশে বন।
বাগান থেকে ফিরছি ঘরে কাঠফাটা রোদ্দুর
বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে রাখাল বাজায় মিঠে সুর।
পথের মাঝে দাঁড়িয়ে গেলাম দূরে দৃষ্টিপাত
সৌম্য মূর্তি শুনছে বাঁশি, কে- রবীন্দ্রনাথ!
রোজ এ’ পথে আসা-যাওয়া পড়ল চোখে আজ
মানবরূপী যেন ঈশ্বর অপূর্ব তাঁর সাজ।
যেই বলেছি আমি সুধা, ডাকল ইশারায়
আমাকে ফুল দিয়ে যেয়ো কোথায় অন্তরায়।
অমলকে ফুল দিয়ে যেতাম কোথায় তাঁরে পাই
ঘরে অনেক কাজ রয়েছে এখন আমি যাই।
বাড়ি বাড়ি ফুল দিতে হয় ঘুরি চতুর্দিক
কাল সকালে লাল করবী দেবো তোমায় ঠিক।
আমি তোমার ‘হঠাৎ দেখা’ মেয়ে
– অজিত কুমার কর
আমি তোমার ‘হঠাৎ দেখা’ ভাগ্যবতী সেই মেয়ে
অসম্ভবের সাক্ষী তুমি বিস্ময়ে যায় চোখ ছেয়ে।
ওই আঁখিতে ছেয়ে আছি ফাঁকি দেওয়া খুব কঠিন
দুজনারই চোখে ছিল অতীত দিনের প্রেম রঙিন।
অমন করে কেউ বলেনি বিশেষণের ফুলঝুরি
তোমার চোখে আমি যেন স্বপ্নপুরীর এক হুরি।
চেয়েছিলেম ঢাকা দিতে চাঁপার মতো গায়ের রং
দালিম ফুলের মতো রাঙা কাঞ্জিভরম জবরজং।
কিছুই তুমি যাওনি ভুলে স্মরণশক্তি তোমার বেশ
লজ্জা পেতাম প্রশংসাতে হাসত আমার কাজল কেশ।
আড়াল করে রেখেছিলাম আঁচল দিয়ে আমার মুখ
সবকিছু তো যায় না ঢাকা প্রকাশ পেত দুঃখ সুখ।
তোমার মনেও দ্বিধা ছিল ডাকার পরে তাই এলে
শুধু একটু আঙুল নাড়া দুঃসাহসী, লাজ ফেলে।
কত কথা পড়ল মনে যায় না কভু সব ভোলা
ছোটখাটো তুচ্ছ ব্যাপার ক্ষণে ক্ষণে দেয় দোলা।
হারায় নাকো আড়ালে রয় অতীত দিনের সব কথা
এমন করে বলেনি কেউ প্রকাশ করে সব ব্যথা।
সত্যি তুমি মহানুভব জগৎ মাঝে তাই অতুল
স্বীকার তুমি করবে জানি এই ধারণা নয়কো ভুল।
আবার কবে দেখা হবে না কি এটাই শেষ দেখা
জানি শুধু আমরা দুজন কোথাও এসব নেই লেখা।
হারাবো না তুমি আমি রইবে অটুট এই বাঁধন
স্বর্গধামে সুখে থেকো এসব কথা থাক গোপন।
আসে না কেন রোজ
– অজিত কুমার কর
লক্ষ্মীপূজা রোজ করে মা দিদি বাজায় শাঁখ
কেন এমন রোজ আসে না পঁচিশে বৈশাখ?
লেখাপড়ায় সেদিন ছুটি রই না ঘরে আর
ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে স্মৃতিচারণ তার।
গাইতে পারি এখন আমি রবীন্দ্র সংগীত
আগে কত ভুল করেছি তখন সাধ্যাতীত।
“মেঘের কোলে রোদ হেসেছে” যখন দিদি গায়
আমি তখন ব্যস্ত থাকি ঘুঙুর পরে পা’য়।
আমরা যেন খাঁচার পাখি বন্দিনী জীবন
বনের পাখি বেড়ায় উড়ে যেদিকে চায় মন।
পাখির মেলা দিঘির বুকে কাচের মতো জল
যখন ওরা সাঁতার কাটে ঢেউগুলো টলমল।
দেখতে খুবই ইচ্ছে করে ভুবনডাঙার মাঠ
বাইরে যাওয়া বারণ আছে শাস্তি-ভয়ে কাঠ।
কোপাই নদী হয়নি দেখা কে দিল ওই নাম?
ছাতিমতলা ঘন্টা ঘরের পরিবেশ ছিমছাম।
এদিক-ওদিক মূর্তি কত শিল্পী রামকিঙ্কর
প্রাণের ছোঁয়া ওদের ভিতর ভাস্কর্য সুন্দর।
পালন তো মা করতে পারি প্রতি জন্মবার
বলনা মা কেমন হলো ইচ্ছেটি আমার।
মহাপরিনির্বাণ
– অজিত কুমার কর
সূর্য তখন মধ্যগগনে আলো-হারা দেশ কেন?
কী হল হঠাৎ কোথা গেল রবি
নামল আঁধার যেন।
বিদায় নিয়েছে মর্ত্যের রবি
বাংলা মায়ের আদরের কবি
তাই দুর্দশা হেন।
কত ব্যথা তুমি রেখেছিলে চেপে প্রকাশ করোনি বলে
সহনশীলতা তোমার ধর্ম অমরায় গেলে চলে।
রুদ্ধ আজিকে কন্ঠ সবার অশ্রু পড়িছে ঝরে
দেশে ও বিদেশে গ্রামে ও শহরে বিহ্বলতা ঘরে ঘরে।
তুমিই জোগাতে সাহস সবারে পথহারা পেত দিশা
শয়নে স্বপনে ঘুমে জাগরণে তৃষিতের মেটে তৃষা।
তোমার গানের সুরঝংকারে শিকল পড়েছে খসে
শক্তপোক্ত কারার প্রাচীর মাটিতে মিশেছে ধ্বসে।
সবার অগ্রে তুমি আগুয়ান দৃপ্ত রবির মতো
বিভেদের বিষ জ্বলে পুড়ে খাক নিরাময় ক্ষত যতো।
কান্ডারি তুমি, তোমার সাহসে তরণি ছুটেছে বেগে
ঝঞ্ঝা তুফান বীরবিক্রমে যতই ফুঁসেছে রেগে।
বাংলা-আকাশে জ্যোতিষ্কসম উজাড় করেছ আলো
বঙ্গজননী বলেছে সাদরে, ঢালো ঢালো, আরো ঢালো।
বিধাতা যেমন ভরিয়ে দিয়েছে নিয়েছে তেমনি কেড়ে
কীভাবে বিধাতা হলো নিষ্ঠুর আক্রোশে এল তেড়ে।
যার বলে তুমি ছিলে বলিয়ান সে দেবী সরস্বতী
কী যে হল তাঁর ফিরালো দৃষ্টি স্তব্ধ লেখনি-গতি।
করল স্থবির অন্তিমকালে কেড়েছে মুখের ভাষা
আরো বহুদিন জোগাবে প্রেরণা ছিল বাঙালির আশা।
দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ তুমিও বিমুখ হলে
অন্তরজুড়ে ছিল অভিমান তাই বুঝি গেলে চলে।
তুমি কি বোঝোনি আমাদের মন কতখানি ভালবাসি
ডুবে গেল তরি মাঝদরিয়ায় তব কৃপায় অভিলাষী।
স্তব্ধ পৃথিবী স্তব্ধ ভারত যেন মনিহারা ফণী
সব জৌলুস নিমেষে বিলীন আঁধারে প্রমাদ গনি।
বাদল মেঘের ঘনঘটা তাই ক্রন্দনরতা শশী
এই অবসরে কখন ঢেলেছে আকাশে এতটা মসি।
অশ্রু ঝরিছে নয়নে সবার টের পাও নাই কবি
তোমার বিয়োগে বড় ব্যথাতুর লুকায়েছে মুখ রবি।
সকল গর্ব পলকে চূর্ণ আঁধার নেমেছে ঘরে
অস্ফুটে বলি ‘ফিরে এসো কবি’ তোমার ছবিটি ধরে।
শ্রাবণের ধারা ঝরে ঝরোঝরো অশ্রুসজল আঁখি
বড় আশা ছিল পরাব তোমারে রাখিবন্ধনে রাখি।
পূর্ণ হল না সে আশা কাহারো কেমনে পাসরি ব্যথা
তোমার নিষেধ মান্য করিনি, বুঝিনি সার্থকতা।
এমন সুনাম এই পৃথিবীতে কাহারো জোটেনি এত
দেশের গর্ব তুমি কবিবর গুরুদেব নামে খ্যাত।
এক এক করে নিভিছে দেউটি কাঁপিয়া উঠেছে হিয়া
শ্রদ্ধা জানাই নতমস্তকে পদ্মকলিকা দিয়া।
কবি পরিচিতি

অজিত কুমার কর। জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৪৬ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কিসমৎ জগন্নাথ চক গ্রামে। মাতা রাজবালা, পিতা কালিপদ। মৌরাজল অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু। ১৯৬২ সালে রামচন্দ্রপুর রাইসুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্কুল ফাইনালে উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৩ তে পাঁশকুড়া বনমালী কলেজে থেকে প্রি-ইউনিভারসিটি ও ১৯৬৬ তে বিজ্ঞান বিভাগে সপ্তম স্থান অধিকার করে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হন। ১৯৬৯ এ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এস সি গণিতে প্রথম হওয়ার ছয় বছর পর ১৯৭৫ এ ওখান থেকেই পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। সিএসআইআর এর পোস্ট ডক্টরেল ফেলোশিপ পেয়ে পুল অফিসার হিসাবে দু’বছর গবেষণা করেন। ১৯৭৬ সালে জয়শ্রী মাইতি-র সাথে শুভ পরিণয়। এরপর হুগলি জেলার নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে কুড়ি বছর অধ্যাপনার পর ২০০৫ এ গণিত বিভাগ থেকে রিডার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
তারপর প্রবেশ সাহিত্যের আঙিনায়, সহধর্মিণী ও কবি সুমনা প্রামাণিক এর অনুপ্রেরণায়। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ন’টি। ‘ঝিরিঝিরি বৃষ্টি তাথৈ তাথৈ নাচ’, ‘পঞ্চক’ ৪খন্ড, ‘লাঞ্ছিত গোলাপ’ এবং ‘রত্নমালা’। কবির চারটি ই-বুক ‘নীলাঞ্জনে রঞ্জিত’, ‘কে তুমি লাবণ্যময়ী’, ‘কীর্তিমান’ এবং ‘প্রেম কাননে ফুটলো ফুল’। অপ্রকাশিত ‘ছড়ার ঘড়া’, ‘ঘড়া ঘড়া ছড়া’, ‘হাঁড়ি ভরা ছড়া’ ‘এক কড়া মিঠা ছড়া’, ‘মহৌষধ বনৌষধি’, ‘শেয়ালের উপাখ্যান’ ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে কবির কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ। বর্তমানে বাংলা-কবিতাডটকম ওয়েব ব্লগ সাইটে নিয়মিত কবিতা পোস্ট করেন। ই-ম্যাগাজিনেও কবিতা প্রকাশিত হয়। অবসর জীবন কাটছে সানন্দে সারস্বত সাধনায় পাঁশকুড়ার জয়াকুঞ্জে।