এগিয়ে যাও জীবন মন্ত্রে
– নীলমণি কুমার মন্ডল
এগিয়ে যাও জীবন মন্ত্রে
জীবনের শুভকামনায়।
মধুপিয়াসী নিরলস সত্যের পূজারী
মিশে আছ হৃদয় বাংলায়।
সময়ের আবর্তনে পৃথিবীর পরিবর্তনে
থাকিতে চাহেনা কেহ বদ্ধ ঘরে।
অন্ধকার আলোকিত হয় জ্ঞানের প্রদীপে
নিবেদিত প্রাণ মানব জীবনে
প্রত্যেক যেন পরের তরে।
কত কথা কত সুর
কত হাসি গান।
হৃদয় বাংলায় লিপিকারের আগমন
শুনি শুধু আহ্বান।
এগিয়ে যাও জীবন মন্ত্রে
সহায় আছে করুণাময়।
হৃদয়ে সবটুকু ভাষা আজ
জীবনের শুভ কামনায়।
বাল্য বিবাহকে না বলি
– নীলমণি কুমার মন্ডল
সবকিছুতে সুন্দর হতে
থাকবে মুখে এক বুলি।
সকল কথায় প্রথম কথা
বাল্য বিবাহকে না বলি।
সুন্দরী হতে ইচ্ছা হলে
লাগবে না আর রং তুলি।
বিবাহ আর না বলি
পূরুষ প্রধান হতে হলে
পঁচিশ বছর যাক চলি।
সুখের সংসার গঠন করতে
বিবাহকে আজ হ্যাঁ বলি।
সোনার দেশ গড়ব মোরা
কিশোর কিশোরী যায় বলি
সব কথা শেষ কথা
বাল্য বিবাহকে না বলি।
বৈশাখ যায় না ভোলা
– নীলমণি কুমার মন্ডল
শুভ আগমন বৈশাখ নববর্ষের
প্রথম ছোঁয়া মাস
তোমার সোহাগ মায়ের মতোই
ভেসে আসে সেই সুবাস
সকল দুঃখ বেদনা ভুলে
আবার বসেছি তোমাকে কোলে
নব আশা নব জাগরণ
সব কিছুই তুমি মূলে
ফুলের সুবাস ফলের মাস
তুমি বাঙালীর চেতনার আশ
তুমি তরুনের তারুণ্য বিহংগের কুহুরব
তোমার মহিমা গাহ বার মাস
বৈশাখের আগমনী গান কুহুকুহু তান
লাগে প্রাণে দোলা
বাংলার মাস শ্রেষ্ঠ চির স্বরণীয়
বৈশাখ যায় না ভোলা।
কবি পরিচিতি

নীলমণি কুমার মন্ডল। সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত জেলিয়াখালি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
গাবুবা জি এল এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা চলাকালীন বাংলা শিক্ষক কবি ও ঔপন্যাসিকের মোঃ আবু তৈয়েবুর রহমানের স্যারের অণুপ্রেরণা ও তার নির্দেশে চাঁদ কবিতা লেখা হয়। কবিতাটি কবির প্রথম লেখা কবিতা। কবিতাটি শুনে শিক্ষক সকল ছাত্রদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করেন। এই সময় হতে কবির কবিতা লেখা শুরু হয়।