ফুটবে আলো
– বিচিত্র কুমার
খুশির একটা ঢল নেমেছে
শুভ নববর্ষে,
মেলা বসেছে গ্রামে-গঞ্জে
আনন্দ আর হর্ষে।
খোকা পরেছে পাঞ্জাবী
খুকি পড়েছে শাড়ি,
পান্তা-ইলিশ খেতে যাব
এসো তাড়াতাড়ি।
রঙ লেগেছে মনে মনে
রঙ লেগেছে বনে,
আঁধার কেটে ফুটবে আলো
এমন খুশির দিনে।
বৈশাখ এলে
– বিচিত্র কুমার
বৈশাখ এলে খোকা-খুকি
শাড়ি পাঞ্জাবী পরে,
নদীর মাঝি তরীয় বসে
নতুন গান ধরে।
মানব মুখে দেখা যায়
মিষ্টি ফুলের হাসি,
গ্রাম-শহরে মেতে উঠে
আনন্দ রাশিরাশি।
বৈশাখ এলে বসে মেলা
নাগরদোলা লাঠি খেলা,
বানর নাচ পুতুল খেলা
খোকা-খুকির কাটে বেলা।
খুকুমণি
– বিচিত্র কুমার
খুকুমণি আর কেঁদো না
মেলায় নিয়ে যাব,
হরেক রকম খেলনা সব
তোমায় কিনে দিব।
বউ পুতুল হাতি ঘোড়া
আরো কত্ত কি,
বানর নাচ পুতুল খেলা
বলো দেখবে নাকি।
কিনে দিব আলতা ফিতা
কালকে মেলায় যাব,
মন্ডা মিঠাই দুজন মিলে
কিনে কিনে খাব।
কবি পরিচিতি

বিচিত্র কুমার। জন্ম ১৯৯১ সালের ১৫ ডিসেম্বর,বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলাধীন খিহালী পশ্চিম পাড়া গ্রামে। পিতা: বিপুল চন্দ্র কবিরাজ, মাতা: অদিতী রানী কবিরাজ। ২০০৮ সালে আলতাফনগর কে এম এ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি, ২০১০ সালে সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ,বগুড়া থেকে এইচ এস সি এবং ২০১৪ ও ২০১৫ সালে সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে (অনার্স) ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণী অর্জন করেন।
এ পর্যন্ত বেশ কিছু যৌথ কাব্যগ্রন্থে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এ সবের মধ্যে ২০১৫ সালে প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ: আমাদের দেশ, এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থ সমূহের মধ্যে : অমর কাব্য গাঁথা, একমুঠো আলো, শত কবির কবিতা, আঁধারে আলোর রেখা, লাঙল, রক্তাক্ত আগস্ট, কাব্যগাঁথা বিজয়, জীবনের যত কাব্য, সূর্যসিঁড়ি তৃতীয় সংকলন, কবিকোষ-২, সেতু(সিঙ্গাপুর), উদীয়মান কবি, কবিকোষ-৩, দীর্ঘশ্বাসের কাব্য ও মায়াবতী উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তার লেখা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দৈনিক জাতীয় পত্রিকা,সাপ্তাহিক পত্রিকা,অনলাইন পত্রিকা,মাসিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশিত হয়।