চন্দনা হালদার – ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনে আবৃত্তি
আবৃত্তি – চন্দনা হালদার
পরিচিতি

চন্দনা হালদার। বাবা – মনোরঞ্জন হালদার, মা – কুমুদিনী হালদার। জন্ম – বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার কাইনমারী গ্রামে। মোংলার সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণী থেকে এস,এস,সি এবং মোংলা সরকারী কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচ, এস,সি পড়াশুনা। পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞান বিভাগে বি,এস,সি(অনার্স) এবং এম,এস,সি – পরবর্তিতে রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি,পি,এড সম্পন্ন। পেশাগত জীবনে খুলনা, বটিয়াঘাটা উপজেলার খগেদ্রনাথ মহিলা কলেজে মনোবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা। বিবাহিত জীবনের শুরুতে স্বামী ড. দেবদুলাল মল্লিক (তপু) অ্যামেরিকার এমোরি ইউনিভার্সিটিতে পি,এইচ,ডি করাকালীন সময়ে নিজ পেশা ছেড়ে অ্যামেরিকাতে সংসার জীবন শুরু। জীবন পরিক্রমায় স্বামী দেবদুলাল মল্লিক অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ডিকিন(Deakin) ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করার সূত্রে মেয়ে খনা এবং ছেলে ঈশান কে নিয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস। কর্মজীবনে প্রত্যাবর্তন প্রয়াসে অষ্ট্রেলিয়াতেই এখন Education Support বিষয়ে কোর্সে পড়াশুনা চলছে।
মোংলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা এবং শৈশব থেকেই কবিতা আবৃত্তি ও লেখালেখিতে হাতেখড়ি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনার সময়ে বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্র থেকে ছোটোদের “কলকাকলি” অনুষ্ঠানে নিজের লেখা কবিতা প্রচারিত হয়। অনুষ্ঠান প্রচারকদের উৎসাহে অনুপ্রাণিত হয়ে তখন থেকেই শখের বশে ছড়া, কবিতা, ছোট গল্প, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা লেখা শুরু হয়। তবে তা দ্বিধার গণ্ডি ছাড়িয়ে খুব একটা প্রকাশিত হয় নি কখনো! ছাত্রীকালীন সময়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কবিতা পড়া ছাড়াও নাচের চর্চা ছিল – বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে পালিত দিবসগুলো সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্য সব অনুষ্ঠানগুলিতে নাচ পরিবেশন ছিল অনিয়মিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মোংলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ছিল নিয়মিত। গনশিল্পী মোংলা শাখা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন “অরনি” এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন “স্বনন”-এর একজন আবৃত্তি কর্মী হিসেবে আবৃত্তি চর্চা ছিল নিয়ত। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পরবাসী জীবন যাপনের মধ্যেও মাতৃভাষা বাংলাভাষা চর্চার প্রয়াসে কবিতা পড়া – এরই একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস।