বিরহে টলমল
– ম. ম. রবি ডাকুয়া
চলো আজ কিছু দুঃখ ধরে আনি,
তুমি সুখে আছো তাই সঙ্গে যাবে না জানি।
আমি দুঃখ বিহঙ্গ পাখি,
একটু সুখের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে দেখি
তোমার সুখের দুটি আঁখি।
কর্মব্যস্ত মন তাই ব্যস্ত তুমি সারাক্ষণ,
জানো না একাকীত্ব আমায় পোড়ায় কি দহন।
পলাশ বিহনে ফাগুন বৃথা,
প্রেম বিহনে জীবন চিতা,
দুঃখ বিহনে সুখ বঞ্চিতা।
আশ্রিত স্মৃতি যত,
জগিয়ে তোলে পুরনো দুঃখ ক্ষত,
তুমি কি পারো সইতে আমার মত।
প্রেম কি আজ পদ্ম পাতার জল,
বিরহের দোলায় করে টল মল।
বিক্ষুব্ধ কবি
– ম. ম. রবি ডাকুয়া
কবির ভেতরে কবিতা ছাড়া কি এমন গভীরতা?
কাব্য ছন্দহীন খরিদ করা দারিদ্রতা।
কি এমন কবিকে ভাবায়?
কাব্য করে কাঁদায়।
চারিদিকে কত দূর্ভেদ্য সভ্যতা,
দুঃখের যেন সহজলভ্যতা।
সুসংহত চাওয়া পাওয়ার পরিসংখ্যান,
চারিদিকে দুঃসহ জয়গান।
তবু আজ ছন্দ ফিরতে চারদিকে দ্বিধাদ্বন্দ্ব,
কবির মন তাই সারাক্ষণ নিরানন্দ।
উপেক্ষা করে নিজ মন
কাব্য চলে সারাক্ষণ।
একি কবিতার বিশ্বযুদ্ধ?
সারাক্ষণ অকাব্যের বিষ্ফোরণ।
কবি আজ বিক্ষুব্ধ
সবাই কিসে এত প্রলুব্ধ?
ভাগ্য লিপিকা
– ম. ম. রবি ডাকুয়া
যতগুলো না বলা কথাগুলো,
মনের পাতায় পাতায় লিপিকা হয়ে রবে,
এক দিন মনের সাথে মনের কথা কবে।
এক দিন স্বরলিপি
হয়ে যাবে মনের কথা ঠিকই,
কখনো বা হয়ে যাবে সুর,
খুব কাছাকাছি আজকের এই দূর।
আমার এ কথাগুলো হয়তো হবে নূপুর ও পায়
কিংবা ফুল খোঁপায়, কিংবা পায় পায় শব্দ ধুলো।
সেদিনও রবো তুমি-আমি,
হয়তো কাছে নয়তো দূরে জানে অন্তর্যামী।
ভাগ্য লিপিকা লিখে যায় বিধাতা,
আশ্রিত আমাদের ত্রাতা ভাগ্য দাতা।
জানে না এ মনতো,
দূরের সুরেও ঝরে বসন্ত।
তবু ভাববো,
খুব কাছাকাছি আছি দুজনে আর এই কাব্য।
কবি পরিচিতি

ম. ম. রবি ডাকুয়া। জন্ম ১৯৮৬ সালে বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার শেহালাবুনিয়া গ্রামে। সাহিত্য জীবনে প্রবেশ ১৯৯৮ সাল থেকে – খুব অল্প বয়সে কাগজ কলম নিয়ে খেলতে শিখতে গিয়ে কবিতা রচনার অভিপ্রায় থেকেই। নিজের লেখাই তাঁর সাহিত্য জীবনের অনুপ্রেরণা। সাংবাদিকতার পেশায় দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের কথা লিখে চলছেন।