আমার ছোটবেলা ও স্কুল-জীবন – ১০
– দীপক রায়
সেন্ট পলসে আমার প্রথম ববছর ছাড়া বাকী বছরের ক্লাসগুলোতে আমি মনিটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। এটা হয়েছিলো সবার সমর্থনের কারণে। একাজ করতে গিয়ে আমি আমার প্রিয় শিক্ষকদের কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা ও স্নেহ পেয়েছিলাম, পেয়েছিলাম আমার প্রিয় সহপাঠিদের কাছ থেকেও। এখনও তাদের কারও কারও সাথে আমার সম্পর্ক আগের মতই আছে। আমার ভিতরে একটা স্বার্থপরতা ছিলো। আমি ক্লাসে আমার পছন্দের জায়গাটায় বসতাম। তবে সে জায়টা হয়তো অন্যরা পছন্দ করতো না। আমার প্রিয় জায়গা ছিলো দরজা দিয়ে ঢুকে প্রথম সারির প্রথম বেঞ্চের ভিতরের দিকের প্রথম সীটটা। যথারীতি ক্লাস টেনে উঠেও একই সুবিধা (আমার মতে) নিয়ে বসলাম। অনেকেই মেয়েদের কাছাকাছি বসার প্রতিযোগিতায় নামলো।
প্রথম পিরিওডে অনিল বাবু ক্লাসে ঢুকলেন। স্যারের জন্যও পরিবেশটা ভিন্ন ছিলো মেয়েদের কারণে। যা হোক, অনিল বাবু প্রথমে এসেই ঘোষণা দিলেন প্রথম ক্লাসেই মনিটর নির্বাচন হবে। স্যার আমার দিকে তাকালেন। আমি বললাম, আমি আর মনিটর হতে চাই না। আমার সহপাঠিরা আপত্তি জানালো আর আমাকে দাঁড়াতে জোরালো দাবি জানালো। স্যারও জোর দিয়ে বললেন দাঁড়াতে। স্যার মেয়েদের দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমাদের মধ্য থেকে এক জন দাঁড়াও। তখন একজন দাঁড়িয়ে পড়লো। স্যার বললেন, আর কেউ দাঁড়াতে চাও? পুরানোদের মধ্য থেকে একজন দাঁড়ালো। এর পর ভোট শুরু হলো। ভোটের পর স্যার ভোট গননা করে একটু সিরিয়াস ভাবে ফল ঘোষণা করলেন। পুরানো ছয় বা সাত জন ছেলে ছাড়া সবাই আমাকে ভোট দিয়েছিলো। আমিতো হতবাক! মেয়েদের মধ্য থেকে যে দাঁড়িয়ে ছিলো, সে শুধু তার নিজের ভোটটাই পেয়েছিলো। স্যার সে কথাটাও পরিস্কার ভাবে ঘোষণা করেছিলেন। তবে শেষে তিনি বললেন, দীপক ফার্স্ট মনিটর, আর যেহেতু মেয়েদের মধ্য থেকে একজন নির্বাচিত হয়েছে, তাই সে হবে সেকেন্ড মনিটর। আর থার্ড মনিটর হচ্ছে অন্য পুরানো ছেলেটি। স্যার শেষে আমাকে বললেন, তুমিতো দাঁড়াতেই চাইছিলে না। সবাইতো তোমাকেই চেয়েছিলো। সেদিনের অনিল বাবুর সেই “ইলেকশন” পরিচালনোর কথা আজও আমার পরিস্কার মনে আছে।
আমার সেন্ট পলস্ স্কুল জীবনে যে কয়জন দায়িত্বশীল প্রতিভাবান শিক্ষকদের আমি পেয়েছিলাম তাঁদের সম্বন্ধে কিছু কথা না বললে এ লেখাটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর মতামত যে সার্বিক অর্থেই সঠিক, সে চিন্তাকে আমি আমার মনের মধ্যে কখনই প্রশ্রয় দেই না। আমার সময় যে শিক্ষকদের কাছ থেকে আমরা শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করেছিলাম, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আজ এ পৃথিবীতে নেই। আমাদের সময় (১৯৭২-১৯৭৭) যে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্মৃতিচারণ করতে চাই, তাঁরা হলেন: স্বর্গীয় শ্রী সুরেন্দ্র নাথ মন্ডল, স্বর্গীয় শ্রী নীরোদ বিহারী পোদ্দার, স্বর্গীয় শ্রী কালিপদ রায়, স্বর্গীয় শ্রী শশধর মল্লিক, শ্রী অম্বিকা চরণ বিশ্বাস, জনাব এম. এ. মান্নান, স্বর্গীয় শ্রী অনিল কুমার বিশ্বাস, স্বর্গীয় শ্রী অমরেন্দ্র নাথ মন্ডল, শ্রী বিমল কৃষ্ণ মন্ডল, শ্রী অশোক কুমার বিশ্বাস, স্বর্গীয় শ্রী হরিপদ মন্ডল ও শ্রী মোহিত কুমার নাথ মহাশয়। এর আগে আমি আমার স্মৃতি কথায় প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শ্রী ফ্রান্সিস সুদান হালদার, শ্রী চক্রধর মজুমদার, ও মিঃ আন্থনী রমেশ হালদারের কথা উল্লেখ করেছি।
শ্রী সুরেন্দ্র নাথ মন্ডল সেন্ট পলস হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ বিদ্যালের একজন স্বনামধন্য শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। আমি ওনাকে পাই ১৯৭২ সাল থেকেই। ওই বছরই ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র হিসাবে সেন্ট পলসে আমার যাত্রা শুরু। সুরেন বাবুকে আমরা পাই প্রথমে ধর্ম বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে। ক্লাস এইট পর্যন্ত তিনি ওই বিষয়টাকে দু’টি ক্লাস একত্রে হিন্দু ছাত্রদের পড়াতেন। পরবর্তীতে আমরা তাঁকে বাংলা সাহিত্যের অসাধারণ এক শিক্ষক হিসাবে পেয়েছি।
ধর্ম বিষয়ের ক্লাসটি আমার যতদূর মনে পড়ে শেষ পিরিয়ডের ক্লাস। দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হয়ে বয়েজ শিফটের ক্লাস চলতো বিকাল ৫টা পর্যন্ত (আমার ভুলও হতে পারে, সঠিক সময়টা আজ মনে নেই)। স্বাভাবিকভাবে আমরা ক্ষুধার্ত থাকতাম। স্যার নিজেও। তিনি তা অকপটে আমাদের কাছে বলতেন। তখন ‘৭৪ সালের কথা। সারা দেশের মত মোংলা এলাকায়ও খাবারের প্রচণ্ড অভাব দেখা দেয়। এমন বাড়ী খুব কমই ছিলো যেখানে দিনে তিন বার ভাতের ব্যবস্থা হতো। ভাতের অভাবে রুটিই ছিলো বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। স্যার একটা ছোট বেত নিয়ে এসে টেবিলে বসতেন যেন দুই শ্রেণীর অধিক সংখ্যক ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আমাদের সাথে অনেক মহা দুষ্ট ছাত্র ছিলো। তারা বিভিন্ন ভাবে ক্লাসে ডিসটার্ব করতো। স্যার এসে খানিকক্ষণ চুপ করে বসে থাকতেন। তারপর চশমা পরা চোখে ক্লাসের সব দিকে দৃষ্টি বুলিয়ে নিতেন। এর পর টেবিলে কয়েকবার বেত্রাঘাত করে সবাইকে কথা বলা বন্ধ করতে বলতেন। তিনি বলতেন, এই –, এই–, একদম চুপ! রুটি খেয়ে এসেছি, কোনো শব্দ করবে না! কেই মেঝেতে জুতা বা স্যান্ডেল ঘঁষে শব্দ করলেই তিনি বলতেন, খস্ খস্ করে কে? ধরতে পারলে নাড়ি বের করে ফেলবো!!
সুরেন বাবুর মূল দক্ষতা ছিলো সাহিত্যের গল্প পড়ানোতে। রবি ঠাকুর বা শরৎ সাহিত্য পড়ানোয় তাঁর কোনো জুড়ি ছিলো না। সাহিত্যের গল্পগুলো যখন পড়াতের তখন পিন পতন নীরবতা বিরাজ করতো ক্লাসে।
শিক্ষক হিসাবে ওনার ব্যক্তিত্ব ছিলো কিছুটা নীরব দাপুটে। আমাদের সাথে তিনি তেমন একটা মিশতেন না, বা পাত্তা দিতেন না। একটা বছর তাঁর নির্দেশে স্কুলের ঘন্টা বাজিয়েছি আমি। আমরা যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি তখন আমাদের ক্লাস রুম ছিলো মূল স্কুল ভবনের নিচ তলায় দ্বিতীয় রুমটা। আর ঘন্টাটা থাকতো আমাদের রুমের সামনে বারান্দায় একটা পিলারের সাথে হেলান দেওয়া। আমি বসতাম ঢুকেই প্রথম বেঞ্চের দরজার মুখে। আমার সীট থেকে বের হওয়ার জন্য দরজার কাছে কিছুটা ফাঁকা রেখেছিলাম বেঞ্চ একটু সরিয়ে, আর ওখান দিয়ে সহজেই আমি বের হতে পারতাম। এক একটা পিরিওড শেষ হলে সুরেন বাবু এসে বেত দিয়ে দরজায় আঘাত করতেন। এর অর্থ ছিলো ঘন্টা বাজাও! মাঝে মাঝে তিনি মুখেও বলতেন একটা শব্দে, এই..! ক্লাস মনিটর হিসাবে একাজটি আমাকে করতে হতো। সে সময় এ কাজটা করতে গর্ব বোধ করতাম। আজ এ বয়েসে এসে মনের মধ্যে একটু বিপরীতমুখী অনুভূতি হয় বৈকি!
সুরেন বাবু একরকম পোষাকই পরতেন, তা হলো ধুতি আর সাদা রঙের ফুল শার্ট। একটা ছাতা থাকতো ওনার নিত্য সঙ্গী। যতদূর মনে পড়ে ক্লাসের বাইরে ওনার সঙ্গে আমার কখনও কথা হয় নি শেষ দেখা হওয়ার সময় ছাড়া। বিশেষ কারণ না থাকলে তিনি কথা বলতেন না। আগের দিনের শিক্ষক হিসাবে ঘরের বাইরে উনি সব সময় reserved থাকতেন।
তিনি আজ পরলোকগত। ওনার সাথে আমার শেষ দেখার স্মৃতি অম্লান। সময়টা সম্ভবত: আমার বি. এল. কলেজে পড়ার সময়। এক পূজার ছুটিতে বাড়ী এসে বন্ধু বেণীমাধবের বাড়ীতে গিয়েছিলাম মাকোড়ঢোনে। তখন কুমারখালিতে বাঁশের চারটা ভাঙা ছিলো। ফেরার পথে সন্ধ্যার দিকে আমরা একই নৌকায় খাল পার হই। ওনাকে নৌকায় দাঁড়াতে আমরা সাহায্য করি। নমস্কার দেয়ার পর কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করি। উনি আমাদেরও সাবধানে দাঁড়াতে বলেছিলেন। সেদিন কুমারখালির পার এসে আমাদের সাথে বেশ কিছু সময় কথা বলেছিলেন তিনি। নিজে থেকে আমাদের আশীর্বাদও করেছিলেন। সেটাই ছিলো ওনার সাথে আমার শেষ দেখা। আর কোনো দিন দেখা হবে না এই সুমিষ্ট কন্ঠের অধিকারী সাহিত্যপ্রেমিক শিক্ষকের সাথে। যে দিন জেনেছিলাম তিনি আর ইহজগতে নেই, সেদিন অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম! তাঁর আত্মার চির শান্তি হোক!
শ্রী অম্বিকা চরণ বিশ্বাস। আমাদের সময়ের একজন উল্লেখযোগ্য ডাকসাইটে প্রভাবশালী শিক্ষক। তাঁকে ভয় পেতো না ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এমন কেউ ছিলো না বললেই চলে। যেমন ছিলেন গম্ভীর, তেমনি ছিলো তাঁর জোরালো গলার তীক্ষ্ণ স্বর। আমরা যখন ৭ম- ৮ম শ্রণীতে, তখন যতদূর মনে পড়ে তিনি আমাদের ইংরেজী প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পড়াতেন। তবে ১০ শ্রেণীতে আমাদের ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর প্রখর দাপুটে ব্যক্তিত্বের কারণে আমরা সারা ক্লাস সময়টা চুপটি করে থাকতাম। স্কুলের বাইরে তাঁর সামনে পড়ে গেলে আমরা কিছুই বলতে পারতাম না, শুধু পালিয়ে যাবার প্রয়াস পেতাম। তবে তিনি মাঝে সাঝে ‘এই কিরে, কোথায় যাও’ ইত্যাদি ধরণের প্রশ্ন করে বসতেন, তবে উত্তরের অপেক্ষা করতেন না।
১৯৭৬ সালের কথা। অম্বিক স্যার একদিন স্কুল ছুটির পর আমাকে ডেকে বলেছিলেন: ‘তোমার দু’টো লেখাই নীরোদ বাবুর কথায় রাখলাম। একটা গল্প ও অন্যটা ছড়া। ছড়াটা আমার ছোট বোন মনীষার নামে প্রকাশ করা হয়। কারণ একজনের নামে দু’টো লেখা ছাপানোর নিয়ম ছিলো না। উল্লেখ্য ওই বছর আমি ১০ম (বিজ্ঞান) শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্র আর ওই বছর সেন্ট পলস্ স্কুলের ম্যাগাজিন শুকতারা প্রকাশিত হতে যাচ্ছিলো। এর জন্য লেখা সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন অম্বিক বাবু ও অশোক বাবু। স্যার এত আস্তে আর মিষ্টি করে বলেছিলেন, কথাগুলো আজও আমার কানে বাজে।
অম্বিক বাবু একজন বিচক্ষণ অভিনেতাও ছিলেন। আমাদের সময়ে অভিভাবক দিবসে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। ছাত্র-ছাত্রী আর শিক্ষক মহোদয়দের সমন্বয়ে তা অভিনীত হয়। নাটকটি ছিলো প্রখ্যাত নাট্যকার কল্যাণ মিত্রের ‘পাথর বাড়ী’। এ নাটকে অম্বিক বাবু কেন্দ্রীয় চরিত্র মুখার্জীর ভূমিকায় যে অভিনয় করেছিলেন তা আমার কিশোর মনের উপর বিশেষ দাগ কেটেছিলো। আজও তা ভুলি নি।

আজ এই মানুষটি প্রবাস জীবন যাপন করছেন অনেক বছর ধরে। আমার আশা ছিলো একদিন ওনার সাথে আমার আবার একবার হলেও দেখা হবে। গত ২০১৯ -এর ডিসেম্বরে কোলকাতা ভ্রমণের সময় আমি বন্ধু পরমানন্দ ও রমেনের সংগে স্যারের বাড়ীতে গিয়ে তাঁর সাথে বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে আসি। স্যারের আতিথেয়তার কথা মনে থাকবে সারা জীবন। তিনি আমাদের দুপুরের খাবার না খেয়ে আসতে দেন নি। স্যারের সহধর্মিনী এ বয়েসেও নিজের হাতে রান্না করে আমাদের যত্ন করে খাইয়ে ছিলেন। এ প্রসঙ্গে আমি স্মরণ করতে চাই আমাদের সময়ের প্রিয় প্রধান শিক্ষক বাবু ফ্রান্সিস সুদান হালদার মহোদয়কে। আমি ওনার কাছ থেকে স্যারের ঠিকানা আর পথ নির্দেশনা গ্রহণ করি। উনি আমাকে স্যারের সাথে দেখা করার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন। আমি অম্বিক বাবুর দীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা করি। (চলবে)
লেখক পরিচিতি

দীপক রায় – পূর্ণ নাম: দীপক কুমার রায়। জন্ম এস এস সি সার্টিফিকেট অনুযায়ী ৭ই জানুয়ারী, ১৯৬৩। বৃহত্তর খুলনার অন্তর্গত বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলায় মালগাজী গ্রামে। বাবা স্বর্গীয় শ্রী ধনঞ্জয় রায় এবং মা শ্রীমতি অমলা রায়। মোংলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয় ও খুলনার দৌলপুরে সরকারী ব্রজলাল কলেজ থেকে যথাক্রমে এস এস সি এবং এইচ এস সি পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।
চাকরি জীবন শুরু ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বর, ঢাকায় বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের জন্য বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার একটা স্কুলে সিনিয়র ল্যাঙ্গুয়েজ টিচার হিসাবে। ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে ওই চাকরি থেকে ইস্তাফা দিয়ে বর্তমান পর্যন্ত স্বনিযুক্ত প্রশিক্ষক হিসাবে বিদেশী শিক্ষার্থীদেরকে বাংলা ভাষার শিক্ষাদানের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত। এক ছেলেও এক মেয়ের বাবা। ছেলে সুদীপ্ত রায় ঢাকার একটি বৃহত্তর বেসরকারী হাসপাতালে রেজিস্ট্রার ডাক্তার হিসাবে কর্মরত। মেয়ে শর্মিষ্ঠা রায় পরিবেশ বিজ্ঞানে সম্মান সহ সম্প্রতি স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের পর ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় যোগ দিয়েছে।
বাংলাভাষা ও সংস্কৃতিতে গভীর ব্যুৎপত্তি ও অনুরাগসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী দীপক রায়। তাই কাজের ফাঁকে নিজের সন্তুষ্টির জন্য লেখা-লেখি নিয়ে সময় পার করেন। ফেসবুকে জীবন ও বাস্তবতা নিয়ে কবিতা লিখে থাকেন প্রতিদিনই, নিয়মিত। গান শোনা তাঁর অন্যতম প্রধান শখ। বিশেষতঃ রাগ প্রধান গান – এ উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি তাঁর ব্যপক আগ্রহ। যখনই অবসর পান গান শুনে সময় কাটানোই তার নিয়মিত অভ্যাস।