দীপক রায় – আমার ছোটবেলা ও স্কুল-জীবন – ৬

আমার ছোটবেলা ও স্কুল-জীবন – ৬

– দীপক রায়

বিপুল উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্যে ‘৭০ এর সাধারণ নির্বাচন শেষ হলো। আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে জয় লাভ করলো। কিন্তু পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমতা ছাড়তে টালবাহানা শুরু করলো মনে হলো। দেশ জুড়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংসদ অধিবেশনে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হলো। এর মধ্যে ‘৭১ এর জানুয়ারী মাসে স্কুল আরম্ভ হওয়ার তারিখ বই-খাতা নিয়ে স্কুলে গেলাম। শুনলাম ক্লাস হবে না। রাস্তায় তখন অনেক লোক। তাদের সাথে হাঁটতে হাঁটতে পোর্টে গেলাম। কাঁচা বাজারের সামনে আওয়ামী লীগের অফিস। বড় খোলা অফিস। অফিসের সামনে বাঁশের মাথায় বিভিন্ন দিকে মুখ করে কয়েকটা মাইক লাগানো। মাঝে মাঝে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, শ্লোগান দেয়া হচ্ছে। খোলা অফিসের ভিতরে অনেকগুলো চেয়ার। আমার সংগে ছিলো মামাতো ভাই মুকুল। সেও সেন্ট পলসে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে আমার ক্লাস মেট। আমরা ভিতরে কিছুক্ষণ বসলাম। একটা স্বাভাবিক উত্তেজনা কাজ করছিলো বালক মনে। হঠাৎ মাইকে ঘোষণা হলো লঞ্চ ঘাটে যাওয়ার। সবার সাথে আমরাও এগোলাম ভীড়ের সঙ্গে। ভীড়টা গিয়ে উঠলো ১০ নম্বর জেটিতে লাগানো একটা লঞ্চে। ছাদে মাইক লাগানো আর পতাকা (সম্ভবত: আওয়ামী লীগের)। হেমিলনের বংশীবাদকের বাঁশির সুরের মতো মাইকের ঘোষণায় মন্ত্রমুগ্ধের মতো লঞ্চে গিয়ে উঠলাম। এতোটুকু ভাবার ফুসরৎ পেলাম কোথায়! তবে নেতৃত্বস্থানীয় স্কুলের অনেক সিনিয়র ছাত্ররা ছিলেন আমাদের সাথে। লঞ্চ ছেড়ে দিলো সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে।

আমাদের লঞ্চ মোংলা নদীর মোহনা অতিক্রম করে পশুর নদী দিয়ে সুন্দর বনের ফরেস্ট অফিসের ঘাটে গিয়ে পৌঁছালো। সুন্দর বন সম্বন্ধে কোনো ধারণাই ছিলো না আমার। শুধু দূর থেকে দেখতাম সবুজ ঘন সমান উচ্চতার অপরূপ বৃক্ষরাজির সমাহার। ছিলো অজানা ভয়ঙ্কর বাঘ আর অন্যান্য জীব-জন্তু সম্পর্কে অস্পষ্ট ধারণা। আমরা ঢাঙমারীর কাছাকাছি কোনো একটি ফরেস্ট অফিসে গেলাম। লঞ্চ থেকে নামতেই দেখলাম খাঁকি পোষাকে ৩০৩ রাইফেল হাতে কিছু বনরক্ষীকে। তারা আমাদের সাথে ভীষণ কো-অপরেটিভ হলেন। আমরা বনের মধ্যে কিছুক্ষণ ঘুরলাম, প্রত্যেকে একটা করে লাঠি সংগ্রহ করলাম। অফিসের বারান্দায় একটা কাঠের বিশাল কামান দেখলাম। আমরা বায়না ধরলাম কামানটা আমরা নিয়ে যাবো। ওনারা আর না বলতে পারলেন না। সবাই ধরাধরি করে কামানটিকে লঞ্চে তোলা হলো। একটা বড় সুন্দরী গাছ দিয়ে সেটা তৈরী করা হয়েছিলো। কালো রঙ করা হয়েছিলো। দেখতে মনে হয়েছিলো যেন লোহা দিয়ে তৈরী সত্যি কামান।

বাড়ী ফিরতে প্রায় পড়ন্ত বিকাল। আমার জীবনটা ছোট বেলা থেকে এভাবেই কেটেছে। ছন্নছাড়া। কী করতাম, কোথায় যেতাম কেউই জিজ্ঞাসা করতো না, বা বাবা না থাকায় খবর রাখার কেউ ছিলো না। বড় হয়েছি অনেকটা সময় মামা বাড়ীতে, অযত্ন আর অবহেলায়। এক দাদু ছাড়া কেউ আমাকে ভালোবাসতো কি না সে প্রশ্ন আজ মনের মধ্যে জাগেও না। মা টুকটাক চিন্তা করতো নিশ্চয়ই। আজ শুধু চিন্তার কাজটা মা-ই করে।

কামানটিকে পোর্টের ১০ নম্বর জেটিতে নদীর দিকে মুখ করে ফিট করে রাখা হলো। যেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে কামান রাখা হয়েছে শত্রুর দিকে তাক করে! আসলে সে চিন্তা থেকেই কাজটা করা হয়। পাকিস্তানী গান বোট ঠেকাতে! ব্যপারটা হাস্যকর হলেও সেই আবেগময় দিনগুলোতে এটা ছিলো কত না অর্থপূর্ণ! প্রতিদিন কত লোক যে যেতো কামানটা দেখতে। আমিও দু’ একবার গিয়েছি।

দিন তারিখ আমার মনে নেই। একদিন বিকালে হলদিবুনিয়ার দক্ষিণ পাড়ায় গিয়েছিলাম বাসন্তী পূজা দেখতে মুকুলের সাথে। ফেরার পথে দেখলাম রাস্তায় অনেক লোক। সবাই চলেছে পোর্টের দিকে। যে পোর্ট গরম হলে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা পোর্টের উল্টো দিকে যেতাম, আজ সেই পোর্টের দিকেই হাঁটা শুরু করলাম সাহস করে। অনেকে যেতে বারণ করলো। থামি নি সেদিন ওই বয়েসেই। মনে এ সাহস এসেছিলো শুধু মাত্র বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কারণে।

অনেকের সাথে আমরা সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে সেন্ট পলস স্কুলের গেটের সামনে চলে আসি। আমি এ স্কুলের ছাত্র– এমন একটা অধিকার নিয়ে বড় গেইটের সাথে ছোট পকেট গেট দিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ি। ঢুকে দেখি খাকি পোষাকে বেশ কয়েকজন লোক রাইফেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের দিকে তাদের কোন নজর নেই। যেন সবাই এক দলের মানুষ। নিচ তলার বারান্দায় গিয়ে দেখলাম একটা রুমে ও বারান্দায় অনেকগুলো রাইফেল দেয়ালের সাথে দাঁড় করিয়ে রাখা। এ যেন যুদ্ধের প্রস্তুতি! দেশে যে একটা বড় রকমের কিছু হতে যাচ্ছে তা সে দিন ওখানে না গেলে বুঝতে পারতাম না।

এর মাত্র কয়েক দিন পর, এখন অনুমান করি তখন মার্চ মাস হবে। বিকাল বেলা। হঠাৎ পোর্টের দিক থেকে প্রচন্ড শব্দে ফায়ারিং শুরু হলো! আগুনের সোনালী গোলা আমাদের মাথার উপর দিয়ে শকুন উড়ে যাওয়ার মত শা শা শব্দ করে উড়ে যেতে লাগলো। আমরা তখন হলদিবুনিয়ায় মামা বাড়ীতে। গ্রামের লোক চিৎকার করে বলতে লাগল, গ্রামে পাকিস্তানী মিলিটারি ঢুকে গুলি করছে। আমরা তখন দাদুর নির্দেশে মাটির দেয়াল দিয়ে তৈরী বড় ঘরের পিছনে জল শুকিয়ে যাওয়া পুকুরের মধ্যে গিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকলাম। দেখলাম গ্রামের লোকরা যার যার পরিবার নিয়ে ছেলে-মেয়েদের হাত ধরে দলে দলে শুকনো বিল দিয়ে পূর্ব দিকে ছুটছে। দাদুর হয়তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতা ছিলো, তাই প্রকৃত অবস্থাটা বুঝেছিলো। দেখলাম, আগুনের গোলা এখানে ওখানে পড়ছে, আর লোকরা এঁকেবেঁকে দৌড়াচ্ছে। আসলে পাকিস্তানী মিলিটারি জানোয়ারগুলো গুলি ছুঁড়ছিলো গান বোট থেকে। অন্তত: তিন চার কি.মি. দূর থেকে হলেও গুলির শব্দ ও শেল দেখে মনে হচ্ছিলো তারা গ্রামে ঢুকে পড়েছে।

যতদূর মনে পড়ে ওই দিনই গান বোট থেকে ফায়ার করে মোংলা পোর্টকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয় পাকিস্তানী সৈন্যরা। যারা সেদিন পালাতে পারে নি তারা ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে গিয়ে পুড়ে মারা যায়। এমন কি সব ব্যাংকগুলিতে যত টাকা ছিলো তা সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মজার ব্যাপার হলো দশ নম্বর জেটিতে রাখা সেই কাঁঠের তৈরি কামানটি সম্ভবত: প্রথম আক্রমণের শিকার হয়। ওটা ওখানেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুরো মোংলা বন্দরকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয় পাকিস্তানী জানোয়ারগুলো। সেটা কি ওই নকল কামানটার জন্যে? আমরা ছোটরাও ঘটনার পর দল ধরে পোড়া পোর্ট দেখতে গিয়েছি। দেখে মনে হয়েছিলো যেন এক বিশাল শ্মশান পুরী!

তখন ছিলো দু’টি পক্ষ: পাকিস্তানী শাসক ও তার সৈন্য আর স্বাধীনতাকামী বাঙালী তথা স্বাধীন বাংলা। নতুন দেশের নাম বাংলাদেশ আর তার স্বাধীনতাও ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ২৬ মার্চ ঘোষিত হয়েছে। ২৫ শে মার্চ রাত ১টায় বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধনমন্ডির ৩২ নম্বরের বাস ভবন থেকে পাকিস্তানী সৈন্যরা গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে। এর আগেই মধ্য রাতের পর গ্রেফতার হওয়ার আগেই তিনি স্বাধীনতা ঘোষণার কাজটি সম্পন্ন করেন। আর তা পাঠিয়ে দেন চট্টগ্রামে বহির্বিশ্বে প্রচারের জন্যে!

এর পর ঘটনা খুব দ্রুত মোড় নেয় অন্যদিকে। বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারের খবর পেয়েই আমাদের এলাকার কিছু স্বাধীনতা বিরোধী লোক মেতে ওঠে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের পুরানো খেলায়। তারা দলে দলে হিন্দু গ্রামগুলিতে ঢুকে লুটতরাজ শুরু করে দেয়।

রাতে দেখতাম মামাবাড়ীর পুরুষরা কেউই ঘুমাতো না। সব দিকের খোঁজ খবর রাখতো কোথায় কী হচ্ছে। হঠাৎ একদিন সকালে দেখলাম এক দল লোক কোথা থেকে এসে মামাদের হালের স্বাস্থ্যবান বলদগুলোকে দ্রুত তাড়িয়ে নিয়ে গেলো। তাদের মাথা গামছা বাঁধা। চোখ-মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল যে কোন সময় তারা মানুষ খুন করতে পারে। আমরা অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকলাম। খবর আসতে লাগলো যে কোন সময় হলদিবুনিয়া গ্রাম লুট হবে। লুটেরারা আশপাশের গ্রামের। হিন্দু সম্পত্তির উপর তাদের এমন লোভ দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম। ওই বছর ধানের ফলনও খুব ভালো হয়েছিল। প্রায় সব হিন্দু বাড়ীতে গোলা ভরা ধান ছিলো।

আর একদিন সকালে কিছু কানা ঘুষা শুনে রাস্তায় গিয়ে দেখি একটু দূরে অবনী রায়ের বাড়ীর সামনে বাঁশতলার এক লোক তার এয়ার গান বন্দুকটা গামছায় বেঁধে পিঠে ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। উদ্দেশ্য হিন্দুরা ভয় পেয়ে বাড়ী ছেড়ে গেলে অতি সহজে লুটপাট করতে পারবে।

আর থাকা যাচ্ছিলো না গ্রামে। কী বিচিত্র এই দেশ। দু’একসপ্তা আগেও এক জোট হয়ে সবাই পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছে বাংলাদেশের পক্ষে। আর আজ কিছু লোক আবার পাকিস্তানী মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে হিন্দুদের ধ্বংস আর তাদের সম্পত্তি লুট করতে চাইছে। না, সেই দিনগুলিতে দু’ চার দশজন বিহারীকে দেখা গেলেও কোন পাকিস্তানী সৈন্যকে গ্রামে ঢুকতে দেখা যায় নি। লুট করেছে স্বাধীনতার বিপক্ষে যে সব স্থানীয়রা ছিলো তারা, ইতিহাসে গড় পরতায় লেখা হলো পাকিস্তানী সেনাদের কথা। ইতিহাসের এ সত্যতা মোংলা এলাকার মানুষ নিশ্চয়ই ভুলে যায় নি!

এক ভোর রাতে আমাদের মানে ছোটদের ঘুম থেকে ডেকে তোলা হলো। সবাইকে বলা হলো দ্রুত ঘাটে বাঁধা নৌকায় গিয়ে উঠতে। সকালের সম্ভাব্য লুটতরাজ, অসম্মান আর জীবন সংহার এড়াতে এ প্রচেষ্টা। সবাই চুপচাপ! এভাবে বেশ কয়েকটা নৌকা এগিয়ে চললো চড়ক খালির বড় খাল ধরে চিলার দিকে। আমাদের ছোটদের তখন জানার প্রয়োজন হতো না আমরা কোথায় যাচ্ছিলাম। আজ এ বয়েসে এসে ভাবতে হচ্ছে সেদিনের সেই হতভাগ্য হিন্দু পরিবারগুলোর অজানা পথযাত্রার কথা! (চলবে)


লেখক পরিচিতি

দীপক রায় – পূর্ণ নাম: দীপক কুমার রায়। জন্ম এস এস সি সার্টিফিকেট অনুযায়ী ৭ই জানুয়ারী, ১৯৬৩। বৃহত্তর খুলনার অন্তর্গত বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলায় মালগাজী গ্রামে। বাবা স্বর্গীয় শ্রী ধনঞ্জয় রায় এবং মা শ্রীমতি অমলা রায়। মোংলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয় ও খুলনার দৌলপুরে সরকারী ব্রজলাল কলেজ থেকে যথাক্রমে এস এস সি এবং এইচ এস সি পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।

চাকরি জীবন শুরু ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বর, ঢাকায় বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের জন্য বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার একটা স্কুলে সিনিয়র ল্যাঙ্গুয়েজ টিচার হিসাবে। ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে ওই চাকরি থেকে ইস্তাফা দিয়ে বর্তমান পর্যন্ত স্বনিযুক্ত প্রশিক্ষক হিসাবে বিদেশী শিক্ষার্থীদেরকে বাংলা ভাষার শিক্ষাদানের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত। এক ছেলেও এক মেয়ের বাবা। ছেলে সুদীপ্ত রায় ঢাকার একটি বৃহত্তর বেসরকারী হাসপাতালে রেজিস্ট্রার ডাক্তার হিসাবে কর্মরত। মেয়ে শর্মিষ্ঠা রায় পরিবেশ বিজ্ঞানে সম্মান সহ সম্প্রতি স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের পর ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় যোগ দিয়েছে।

বাংলাভাষা ও সংস্কৃতিতে গভীর ব‍্যুৎপত্তি ও অনুরাগসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী দীপক রায়। তাই কাজের ফাঁকে নিজের সন্তুষ্টির জন্য লেখা-লেখি নিয়ে সময় পার করেন। ফেসবুকে জীবন ও বাস্তবতা নিয়ে কবিতা লিখে থাকেন প্রতিদিনই, নিয়মিত। গান শোনা তাঁর অন্যতম প্রধান শখ। বিশেষতঃ রাগ প্রধান গান – এ উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি তাঁর ব্যপক আগ্রহ। যখনই অবসর পান গান শুনে সময় কাটানোই তার নিয়মিত অভ্যাস।