ফিরিয়ে দাও
– হোসাইন ইমাম
ফিরিয়ে দাও শিশির সকাল
আচল ভরা শিউলি ফুল।
ফিরিয়ে দাও পাটিগনিত,
সরল অংকের সহজ ভুল।
ফিরিয়ে দাও মর্নিং স্কুল
চৈত্রের সেই অলস দুপুর।
ফিরিয়ে দাও মেঠো পথের
শ্যামা মেয়ের মিষ্টি নূপুর।
ফিরিয়ে দাও গোধূলি বিকেল
খেলার মাঠের গন্ডগোল।
ফিরিয়ে দাও দুষ্ট ছেলের
মোড়ের দোকানের বিশ্রি বোল।
ফিরিয়ে দাও শৈশবটা
পাঠশালাতে ঘুরে আসি,
টাইম মেশিন তৈরি করো
না হয় গলায় পরো ফাঁসি।
ভালো থাকার জন্য ভালো থাকো
– হোসাইন ইমাম
তুমিও দুঃখ লুকাও হিজাবের ভাজে
সূচালো পিনে বেঁধে রাখো দুঃখ সমগ্র।
দুঃখের যে ট্রেডমার্ক লেগেছিলো চোখের নিচে
কি দারুণ বদলে দাও কাজলের রেখায় বিজয় চিহ্নে।
তুমিও হাসো কি অবলীলায় বুকের ডেরাজে রেখে জলন্ত মোমবাতি।
ভালো আছি বলার জন্য তোমার ভালো থাকা।
তুমিও সুখে থাকো কিছু ইচ্ছে দিয়ে নির্বাসন।
কিছু সুপ্ত বাসনা তুলে রাখো শো-পিচের মতো
অযত্নে ধুলো পড়ে যায় কি দারুণ ভুলে যাও তুমি।
আবার নতুন স্বপ্নে নিজেকে জড়াও-
ভালো থাকার অভিনয়ে কখন নিজেকে ভুলে যাও নিজেই জানো না।
ভালো আছি বলার জন্যই তোমার ভালো থাকা।
কবি পরিচিতি

হোসাইন ইমাম। জন্ম মে ১৮, ১৯৯৭ সালে বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার ঠোটারডাংগা গ্রামে। ২০১৪ তে আমড়াতলা চাপড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি ও পরে মোংলা সরকারি কলেজ থেকে এইচ এস সি সমাপ্তির পর বর্তমানে মোংলা সরকারি কলেজই স্নাতক পাস কোর্সে ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন।
প্রথম লেখার হাতেখড়ি ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে পড়ার সময় – শ্রেণি শিক্ষক বিদ্যুৎ বরণ মন্ডলের অনুপ্রেরণাতে। মাধ্যামিক জীবনে ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করেছেন চাঁদপাই মেছেরশাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সেই সময় বিদ্যালয়ে প্রথম প্রকাশিত হয় দেওয়ালিকা যা তার সাহিত্য জগতে পদার্পণ করার প্রথম সোপানও বটে। পত্রিকার উপদেষ্টা ছিলেন তার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক বিদ্যুৎ বরণ মন্ডল। ঘটনাক্রমে সম্পাদকের অনুপস্থিতে হোসাইন ইমামকেই সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে হয়, যা পরবর্তীতে তার লেখায় প্রভাব বিস্তার করে।
নিজেকে তিনি রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লার আদর্শে আদর্শিত করতে চান। তাই কবি বলার থেকে নিজেকে শব্দ-শ্রমিক বলতে এবং ভাবতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি।