কল্লোল সিং – কবিতাগুচ্ছ – প্রকৃতি

প্রকৃতি – ১

– কল্লোল সিং

সবুজ ঘাসের মত জেগে উঠে
মহাকালের আলোয় মিলিয়ে যেতে যেতে
যে সুখের দ্যাখা, নিঃশ্বাসের
প্রতি ঘাতের ধাক্কায় মেলে;
তাকে ক্ষণশ্বরের হৃদয়ে ধারণ করে
জীবনে বেচেঁ থাকার উদযাপন!

প্রকৃতি – ২

– কল্লোল সিং

তোমায় কথায় ছুয়ে দিলে পলকে,
শান্ত আকাশ
বিদ্যুৎ ছটা চমকে উঠে ছলকে!

প্রকৃতি – ৩

– কল্লোল সিং

আকাশকে দেখে নিজে কখনও একলা উদাস হতে ভুলিনি;
পাশে এসে কেউ দাড়ালে তাকে মেঘ বলতে দ্বিধা করিনি!

প্রকৃতি –

– কল্লোল সিং

চাঁদের টানে ভাটার জলে
যতই থাক আকাশ দূরে!
মনের হাওয়ায় পাল তুলে মেঘ
নদীর ধারায় জোয়ার আবেগ;
শত ধাঁধায় যতই জড়ায়
ভাসলে তবু জল বরষায়।

প্রকৃতি –

– কল্লোল সিং

ঘাস ফড়িং, তিড়িং বিড়িং
ফুল জলে বন তলে
একাকিনী সঙ্গীহীন!

প্রকৃতি –

– কল্লোল সিং

মরা কাঠ – ইট খোয়া ভরা
সিমেন্ট বালু জীবন ছেড়ে,
ধানসিঁড়ি নদী ঘেরা ভেড়িবাঁধ পথ বেয়ে
সবুজে তোমার সাথে মিশে যেতে চাই।


কবি পরিচিতি

কল্লোল সিং। জন্ম জানুয়ারি ২২, ১৯৭৮ সাল। পিতা স্বর্গীয় মাইকেল সিং, মাতা কুমকুম সিং। স্থায়ী বাসস্থান – এনিও পাড়া, শেলাবুনিয়া, মোংলা, বাগেরহাট। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত, দুই সন্তানের জনক। পড়াশুনা এম বি এ (ফিন্যান্স) এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট। বর্তমানে কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

মোংলার উপজেলার শেলাবুনিয়া এলাকার স্নেহের নোনা হাওয়া, জোয়ার ভাটার নদী জলে, আলো বাতাসে, সবুজের ছোয়ায় বেড়ে উঠেছেন। শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের বেশিরভাগ সোনালি সময় (১৯৮৫-২০০২) সেন্ট পলস হাই স্কুলে, শেলাবুনিয়া ও কাইনমারি এবং মোংলার অববাহিকায় আতিবাহিত করেছেন।

জীবনের উপলব্ধি সাদাকালো চেহারায় প্রকাশের আনন্দ অনেকের কাছে কবিতা মনে নাও হতে পারে – কিন্তু তার কাছে এই প্রকাশের আনন্দ অপরিসীম অনবদ্যতা নিয়েই উপস্থিত হয়েছে। নিজেকে কখনও কবি না ভাবলেও বা কবি হিসাবে পরিচয় দিতে কুন্ঠাবোধ থাকলেও তার লেখায় এক বিশেষ কাব্যিকতা ফুটে উঠেছে। এই সব ভাবনা ও লেখার সামান্য কিছুও যদি কারো ভলো লাগে তবে মতামত জানানোর অনুরোধ রইল – তিনি আপ্লুত হবেন। এছাড়া সবার কাছে আশীর্বাদ প্রার্থী তিনি।